রাহুল গান্ধীকে অসমীয়া সাধক ও পণ্ডিত শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের জন্মস্থানে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস নেতা নিজেই এক ভিডিও মারফত এই অভিযোগ করেছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেছেন রাহুল গান্ধী।
‘ভারত জড়ো ন্যায় যাত্রা’ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সোমবার সকালে আসামের নগাঁওতে পঞ্চদশ শতাব্দীর সমাজ সংস্কারক সাধক শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের জন্মস্থান বটদ্রাব সাতরা মন্দিরে যাওয়ার কথা ছিল। সেইমতো সকালে মন্দিরের সামনে পৌঁছান তিনি। কিন্তু মন্দিরের নিরাপত্তা রক্ষীরা তাঁকে প্রবেশ করতে বাধা দেন।
সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর শেয়ার করা এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক নিরাপত্তা রক্ষীকে রাহুল গান্ধী প্রশ্ন করছেন কেন তাঁকে ভেতরে প্রবেশ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। রাহুল বলছেন, “আমরা মন্দির দর্শন করতে চাই। আমি কী এমন অপরাধ করেছি যে আমি মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবো না? আমরা কোনো সমস্যা তৈরি করতে চাই না, আমরা কেবল মন্দিরে প্রার্থনা করতে চাই।"
এই ঘটনার প্রতিবাদে, রাহুল গান্ধী তাঁর দলের কর্মীদের সাথে নগাঁওতে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, স্থানীয় সাংসদ এবং বিধায়ক ছাড়া, কোনও কংগ্রেস নেতাকে মন্দিরের ২০ কিলোমিটারের মধ্যেও আসতে দেওয়া হয়নি।
এই প্রসঙ্গে সিনিয়র কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ সাংবাদিকদের বলেন, “১১ জানুয়ারি আমাদের দুজন বিধায়ক মন্দির ম্যানেজমেন্টের সাথে দেখা করে প্রবেশের অনুমতি চেয়েছিলেন। আমরা বলেছিলাম আমরা ২২ জানুয়ারী সকাল ৭ টায় সেখানে আসব। আমাদের স্বাগত জানানো হবে বলেও বলা হয়েছিল। কিন্তু গতকাল সন্ধ্যায় আমাদের হঠাৎ জানানো হয় যে আমরা বিকাল ৩ টা পর্যন্ত মন্দিরে প্রবেশ করতে পারবো না।“
এটি আসলে রাজ্য সরকারের চাপের কারণে করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ, এমনটাই মনে করেন তিনি।
এর আগে রবিবার বিজেপি শাসিত আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা রাহুল গান্ধীকে সোমবার শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের জন্মস্থানে যেতে নিষেধ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, রাম জন্মভূমি এবং বটদ্রাব সাতরা মন্দিরের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে এমন ধারণা জেন তৈরি না হয় আসামবাসীর মধ্যে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন