আগামী মাসে জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন। ১০ বছর পর উপত্যকায় বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেখানে কংগ্রেসের সংগঠনকে মজবুত করতে মরিয়া লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। এই নির্বাচনে কংগ্রেস একক শক্তিতে লড়বে নাকি জোটসঙ্গীদের হাত ধরবে সেটাই দেখার।
বুধবার বিকেলেই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে নিয়ে উপত্যকার উদ্দেশ্যে রওনা দেন রাহুল গান্ধী। জানা যাচ্ছে দলীয় কর্মকর্তাদের সাথে জম্মু ও কাশ্মীরে পৃথক পৃথক বৈঠক করবেন রাহুল গান্ধী। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহর ন্যাশনাল কনফারেন্সের সাথে কংগ্রেস জোট করবে কিনা সেবিষয়ে আলোচনা হতে পারে। পাশাপাশি জম্মু ও কাশ্মীরের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির পিডিপির সাথেও জোটের রাস্তা খোলা রাখতে চাইছে কংগ্রেস।
তবে দলের একাংশের মতে জম্মু ও কাশ্মীরের কোনও জোটে না গিয়ে একা লড়াই করা উচিত কংগ্রেসের। লোকসভা নির্বাচনের ফলের পর কংগ্রেসের সংগঠন আরও মজবুত হয়েছে। তাই বিধানসভা নির্বাচনেও একা লড়ার দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেণুগোপাল জানান, বিজেপিকে কোনও মতে জিততে দেওয়া যাবে না। বিজেপিকে হারানোর জন্য কংগ্রেস সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে। যা যা করার তা সব করবে কংগ্রেস। ফলে জম্মু ও কাশ্মীরে 'ইন্ডিয়া' জোট বনাম 'এনডিএ'-র লড়াই দেখা যেতেই পারে।
সম্প্রতি, উপত্যকা এবং হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। জম্মু ও কাশ্মীরের ৯০ আসনে ৩ দফায় নির্বাচন হবে।। ১৮ সেপ্টম্বর প্রথম দফায় হবে ২৪ আসনে নির্বাচন। ২৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় হবে ২৬ আসনে নির্বাচন এবং ১ অক্টোবর তৃতীয় দফায় হবে ৪০ আসনে ভোট গ্রহণ। অন্যদিকে হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে ৯০ আসনেই ১ অক্টোবর ভোট গ্রহণ হবে। দুই রাজ্যের ভোটের ফলপ্রকাশ হবে ৪ অক্টোবর।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে শেষবার বিধানসভা নির্বাচন হয়। তারপর ২০১৯ সালে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদটি বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ অধিকার ও রাজ্যের তকমা কেড়ে নেওয়া হয়। তারপর আর নির্বাচন হয়নি। ২০১৪ সালে ৮৭টি আসনে নির্বাচন হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে ৯০টি আসনে নির্বাচন হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন