কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বুধবার প্রতিবাদী কুস্তিগীরদের সঙ্গে দেখা করলেন। হরিয়ানার ঝাঝড় জেলার এক কুস্তির আখড়ায় জমায়েত হয়েছিলেন প্রতিবাদী কুস্তিগীররা। সেখানেই গেলেন রাহুল গান্ধী। রাহুলের সঙ্গে কুস্তি লড়তেও দেখা যায় কুস্তিগীরদের।
চলতি বছরের প্রথমে কুস্তি ফেডারেশনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলেছিলেন সাক্ষী মালিক, ভিনেশ ফোগটের মতো দেশের প্রথম সারির কুস্তীগিররা। তারপর বিজেপি সাংসদ শরণ সিংয়ের অপসারণের দাবিতে প্রতিবাদে নামে কুস্তিগীররা। অপসারিতও করা হয় তাঁকে। সম্প্রতি ফেডারেশনের নির্বাচনে নয়া প্রেসিডেন্ট হয়েছেন সঞ্জয় সিং। যিনি ব্রিজভূষণের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন কুস্তীগিররা। এই নিয়ে ফের নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
এই প্রতিবাদী কুস্তিগীররা বুধবার উপস্থিত হয়েছিলেন হরিয়ানার ঝাঝড় জেলার এক কুস্তির আখড়ায়। সেখানে ছিলেন অলিম্পিক্স পদকজয়ী বজরং পুনিয়া, সাক্ষী মালিক, তারকা কুস্তিগীর ভিনেশ ফোগত-সহ অনেকেই। সেখানেই এসে হাজির হন কংগ্রেস নেতা রাহুল।
বজরং সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, ‘‘আমাদের কুস্তিগীরদের দিন কেমন ভাবে কাটে, উনি (রাহুল) তা-ই দেখতে এসেছিলেন। আমাদের দৈনিক রুটিন সকাল থেকে কী ভাবে শুরু হয়, আমরা কী ভাবে কুস্তি অভ্যাস করি, সবই দেখলেন। নিজেও আমাদের সঙ্গে কুস্তি অভ্যাস করেছেন।’’
উল্লেখ্য, সঞ্জয় সিংয়ের কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার প্রতিবাদে কুস্তি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন অলিম্পিক্স পদকজয়ী কুস্তীগির সাক্ষী মালিক। সাক্ষীকে সমর্থন করে পদ্মশ্রী সম্মান ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বজরং পুনিয়াও। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে পদ্মশ্রী ফেরত দিতে যান তিনি। কিন্তু তাঁর দেখা না পেয়ে সংসদের বাইরে রাস্তায় নিজের পদ্মশ্রী পদক রেখে দিয়ে এসেছিলেন তিনি। পরে এঁদের মতোই প্রতিবাদে সবর হন বাকি অনেক কুস্তিগীর।
দেশের বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে পাওয়া পদক ফেরাতে শুরু করেন কুস্তিগীররা। এই প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ায় সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। বজরং জানিয়েছিলেন, যতদিন না যৌন হেনস্থার শিকার হওয়া তাঁর কুস্তিগির ভাই-বোনেরা দেশের সরকারের কাছ থেকে সুবিচার পাচ্ছেন, ততদিন তিনি পদ্মশ্রী সম্মান ফিরিয়ে নেবেন না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন