“আমাকে সত্যি বলার মূল্য চোকাতে হচ্ছে। আমি সত্যি বলার জন্য যে কোনো মূল্য চোকাতে প্রস্তুত। তা সে যাই হোক না কেন। কিন্তু আমি সমস্ত বিষয়েই সরব হব, আরও জোরের সঙ্গে সরব হব। কারণ কাউকে না কাউকে তো এই বিষয়গুলো তুলতেই হবে।” লোকসভার হাউসিং কমিটির নির্দেশ মেনে শনিবার লুটিয়েন দিল্লীর সরকারি বাংলোর চাবি সরকারি আধিকারিকদের হাতে তুলে দেবার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
গত প্রায় দু’দশক ধরে রাহুল গান্ধী থাকতেন লুটিয়েন দিল্লীর ১২ নম্বর তুঘলক লেনের সরকারি বাংলোতে। সাংসদ পদ চলে যাবার পর এবার লোকসভার হাউসিং কমিটির নির্ধারিত সময়সীমা মেনে সরকারি বাংলো ছেড়ে দিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। ২২ এপ্রিলের মধ্যে তাঁকে সরকারি বাংলো ছেড়ে দেবার সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল।
২০০৪ সালে আমেঠী লোকসভা কেন্দ্র থেকে ভোটে জিতে প্রথমবার সাংসদ হবার পর তাঁর জন্য এই বাংলো বরাদ্দ করেছিল লোকসভার হাউসিং কমিটি। তখন থেকে এই বাংলোতেই তিনি থাকতেন। জানা গেছে, আপাতত তিনি তাঁর মা সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে ১০ জনপথের বাংলোতেই থাকবেন।
সুরাত আদালতের এক মামলার রায়ের ভিত্তিতে গত ২৪ মার্চ রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হয়। লোকসভা সচিবালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, শ্রী রাহুল গান্ধী, কেরালার ওয়াইনাড সংসদীয় কেন্দ্রের লোকসভা সাংসদ, লোকসভার সদস্য থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। কারণ গত ২৩ মার্চ, ২০২৩ তিনি অভিযুক্ত হয়েছেন এবং ভারতীয় সংবিধানের ধারা ১০২(১)(ই) এবং রিপ্রেসেন্টেসন অফ দ্য পিপলস অ্যাক্ট, ১৯৫১-এর ধারা ৮ অনুসারে তিনি যোগ্যতা হারিয়েছেন। সাংসদ পদ চলে যাবার পরেই তাঁকে বাংলো ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের পর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক ট্যুইট বার্তায় বলা হয়, "রাহুল গান্ধীর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করা হয়েছে। যিনি আপনার জন্য এবং দেশের জন্য রাস্তা থেকে সংসদ পর্যন্ত গণতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য লাগাতার লড়াই করেছে চলেছেন। সমস্ত ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও যে কোনো মূল্যে তিনি এই লড়াই জারি রাখবেন এবং সমস্ত বিষয়ে ন্যায়সঙ্গত ভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। লড়াই জারি থাকবে।"
রাহুল গান্ধীর বাংলো ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা সাংবাদিকদের বলেন, আমার ভাই যা বলেছে তা সত্যি। ও সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছে এবং এটা তারই ফল। ও খুবই সাহসী এবং আমি সবসময় ওর সঙ্গে আছি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন