শনিবার ২১ তম দিনে পড়েছে কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'। ঝাড়খণ্ডের দেওঘরে প্রবেশ করেছে রাহুল গান্ধীর যাত্রা। ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করেই বিজেপির বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ড সরকার ফেলার চক্রান্ত নিয়ে সুর চড়িয়েছেন রাহুল।
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম হয়ে ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করে রাহুল গান্ধীর 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'। কয়েকদিন আগেই ইডির হাতে গ্রেফতার হন ঝাড়খণ্ডের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। সোমবার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবেন জেএমএম-কংগ্রেস জোট সরকারের নতুন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন। এই সরকার ফেলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে বিজেপি। এমনটাই অভিযোগ করছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলি।
শনিবার রাহুল গান্ধী বলেন, বিজেপির টাকার শক্তি এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস তা ভয় পায় না। আমরা আমাদের লড়াই জারি রাখবো। ঝাড়খণ্ডেও বিজেপি চক্রান্ত করছে। কিন্তু তাদের চক্রান্ত ব্যর্থ হবে।
তিনি আরও বলেন, ঝাড়খণ্ডের যুব সমাজ ক্ষতির মুখে। শুধুমাত্র বিজেপির কারণে। বিজেপি নোটবন্দি করেছিল, জিএসটি চালু করলো কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি যুবক-যুবতীদের। তারা বেকারই রয়েছে।
ওয়াইনাডের সাংসদ বলেন, কংগ্রেস আদিবাসীদের জন্য অরণ্যের অধিকার আইন, আদিবাসী বিল এনেছিল। আদিবাসীদের সারনা ধর্ম কোডের জন্যও অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু বিজেপি আদিবাসীদের নিয়ে চিন্তিত নয়। তারা শুধু চায় আদিবাসীদের জমি ছিনিয়ে নিতে। সেই জমি পরে তাদের কর্পোরেট বন্ধুদের দান করবে। এই ঝাড়খণ্ডের মাটিতেই আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার জন্য বীরসা মুন্ডা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন। সেই জমিতে বর্তমানের ব্রিটিশ 'মোদানি' চান আদিবাসীদের জল, বাসস্থান সবকিছু কেড়ে নিতে। কিন্তু কংগ্রেস আদিবাসীদের রক্ষার লড়াইয়ে দায়বদ্ধ। বলা বাহুল্য, 'মোদানি' বলতে প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং বিজেপি ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ব্যবসায়ী গৌতম আদানিকে বোঝাতে চেয়েছেন রাহুল গান্ধী। এই শব্দটি আগেও ব্যবহার করেছেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন