‘আজ নয়তো কাল, নয়তো পরশু সত্যের জয় হয়।’ শুক্রবার মোদী পদবী মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে স্বস্তি পাওয়ার পর একথা জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন সাংসদ রাহুল গান্ধী। এদিন এক ট্যুইট বার্তায় তিনি আরও বলেন, ‘যাই হোক না কেন, আমার কাজ একই থাকবে। ভারতের ধারণাকে রক্ষা করা।’
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট মোদী পদবী মামলায় রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে দেওয়া গুজরাট হাইকোর্টের নির্দেশে স্থগিতাদেশ জারি করে। আদালত নিজেদের পর্যবেক্ষণে জানায়, এই মামলায় ট্রায়াল জাজ তাঁর বিরুদ্ধে দু’বছরের যে সর্বাধিক শাস্তি দিয়েছেন তার যৌক্তিকতা নেই।
এদিন রাহুল গান্ধীর পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, আইনজীবী রাজিন্দর চিমা, হারীন রাভেল, তারান্নুম চিমা এবং প্রসন্ন।
গুজরাটের এক আদালত রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মোদী পদবী মামলায় শাস্তি ঘোষণার পর তাঁর সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। তাঁর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। যদিও শীর্ষ আদালতের এদিনের রায়ের পর অনেকটাই স্বস্তি মিলেছে রাহুল গান্ধীর। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এদিন দাবি করা হয়েছে যে দ্রুততার সঙ্গে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছিল এবার একইরকম দ্রুততার সঙ্গে তাঁর সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়া হোক।
গত মার্চ মাসের ২৩ তারিখে তৎকালীন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে সুরাটের এক আদালত দু’বছর কারাবাসের শাস্তি শোনায়। বিজেপি বিধায়ক এবং গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদীর করা অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর এই সাজা হয়। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় রাহুল গান্ধী মোদী পদবী মন্তব্য করেছিলেন। যেখানে তিনি বলেছিলেন, ‘কীভাবে সব চোরদের পদবী মোদী হয়?’
আদালত থেকে সাজাপ্রাপ্ত হবার পরেই তড়িঘড়ি ওয়াইনাডের সাংসদের সাংসদপদ খারিজ করে দেন লোকসভার স্পীকার ওম বিড়লা। রাহুল গান্ধী সুরাট আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে গুজরাট আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেখানে তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। একইসঙ্গে আগামী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কিনা তা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন