আসামের গুয়াহাটিতে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হলো রাহুল গান্ধীর 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'কে। পুলিশ এবং কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বাধে। কংগ্রেসের অভিযোগ, আসামের বিজেপি সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে যাত্রায় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করতে চাইছে।
মঙ্গলবার দশম দিনে পড়েছে কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'। কংগ্রেস সূত্রে খবর, যাত্রা যাওয়ার কথা ছিল গুয়াহাটি শহরের মধ্যে দিয়ে। গুয়াহাটি শহরে প্রবেশের আগেই আসাম পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে ন্যায় যাত্রা আটকানোর চেষ্টা করে। সেই সময়ই পুলিশ এবং কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়।
রাহুল গান্ধী বলেন, "আমরা আইন ভাঙিনি। ব্যারিকেড সরিয়েছি শুধু। কিছুদিন আগে এই একই রাস্তায় জেপি নাড্ডা এবং বজরং দল মিছিল করেছিল। পুলিশ সেই মিছিলের অনুমতি দিয়েছিল কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে পৃথক পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এখানে পুলিশদের দোষ আমি দেবো না। কারণ তাঁরা তাঁদের কর্তব্য পালন করছেন"।
তিনি আরও বলেন, "আমরা এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের (বিজেপি) বিরুদ্ধে লড়তে এসেছি। আমাদেরকে আটকে ভাববেন না কংগ্রেস দুর্বল হয়ে গেছে। আমাদের কর্মীদের মনোবল খুব শক্ত। আমরা আবার আসবো এবং বিজেপিকে হারাবো"।
পুলিশের দাবি, আজ কোনো ছুটির দিন নয়। শহরের রাস্তায় ব্যস্ততা থাকে। কংগ্রেসের যাত্রা প্রবেশ করলে যানজট আরও বাড়বে। তাই অন্য রাস্তা দিয়ে যাত্রা নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।
আসাম কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রশাসন ২৭ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে ন্যায় যাত্রা নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। যেটি খানাপাড়া-জয়নগর-বশিষ্ঠ-গোরচক-লোখরা রুট দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, সোমবারও আসামে বাধার মুখে পড়েছিল রাহুলের 'ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা'। রাহুল গান্ধীকে অসমীয়া সাধক ও পণ্ডিত শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের জন্মস্থানে যেতে বাধা দেওয়া হয় বলেই অভিযোগ করেছিল কংগ্রেস নেতৃত্ব। যার ঘটনার প্রতিবাদে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেছেন রাহুল গান্ধী। এমনকি কর্মী সমর্থকদের নিয়ে 'রাম সিয়া রাম' গান করেও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন