সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে আমেঠি কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কংগ্রেস প্রার্থীর কাছে পরাজিত হয়েছেন বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানী। এরপরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে চলে ট্রোলের বন্যা। এবার সেই আক্রমণ থামাতে উদ্যোগী হলেন কংগ্রেস সাংসদ এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্যের পরেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তাঁকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা।
শুক্রবার এক এক্স বার্তায় (পূর্বতন ট্যুইটার) রাহুল গান্ধী লেখেন, “জয় পরাজয় জীবনে থাকে। আমি সকলের কাছে স্মৃতি ইরানী বা অন্য যে কোনও নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য অথবা খারাপ আচরণ করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করছি।”
ওই বার্তাতেই রাহুল গান্ধী বলেন, “মানুষকে অপমান করা দুর্বলতার লক্ষণ। তা কখনই শক্তির পরিচয় দেয় না।”
রাহুল গান্ধী এক্স হ্যান্ডেলে একথা লেখার পরেই বহু মানুষ তাঁকে অভিনন্দিত করেছেন। জনৈক সুরভি মারাদিয়া এই মন্তব্যের উত্তরে লিখেছেন, “এটাই কংগ্রেস নেতৃত্ব এবং বিজেপি নেতৃত্বের মধ্যে পার্থক্য। বিজেপি নেতৃত্ব সবাইকে অসম্মান করে এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব সবাইকে সম্মান করে।
জনৈক আশিস লিখেছেন, “যেদিন স্মৃতি ইরানি লোকসভায় সোনিয়া গান্ধীকে অপমান করেছিলেন, রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে তারা স্মৃতিকে আর লোকসভায় পৌঁছতে দেবেন না। সেদিন থেকেই আমেঠিতে বিজেপি ও স্মৃতি ধ্বংসের স্থপতি হয়ে ওঠেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।”
জনৈক রোহিনি আনন্দ লিখেছেন, “আপনার পরিবার আপনাকে ভাল মূল্যবোধ, শিষ্টাচার এবং খুব ভাল আচরণ শিখিয়েছে। আজকের মানুষের মধ্যে যার অভাব রয়েছে।”
জনৈক শিরিন খান লিখেছেন, এটাই একজন প্রকৃত নেতার লক্ষণ।
জনৈক অনু লিখেছেন, আমাকে নরেন্দ্র মোদীর এরকম একটিও মেসেজ দেখান। যেখানে তিনি তাঁর দলের লোকজনকে মহিলাদের অবমাননা করতে নিষেধ করেছেন। কারণ তিনি সেই ধরণের মানুষদের অনুসরণ করেন।
জনৈক স্বাতী দীক্ষিত লিখেছেন, এই পার্থক্যই আপনাকে জননায়ক করেছে এবং এই কারণেই আপনাকে আমরা সবাই ভালোবাসি।
অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে আমেঠি কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী কিশোরী লাল শর্মার কাছে ১,৬৭,১৯৬ ভোটে পরাজিত হয়েছে বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানী। এবারের ভোটে ইরানী পেয়েছেন ৩,৭২,০৩২ ভোট। অন্যদিকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছেন ৫,৩৯,২৮৮ ভোট। এবার এই কেন্দ্রে স্মৃতি ইরানীর ভোট কমেছে ১১.৭০ শতাংশ।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে আমেঠি কেন্দ্র থেকেই কংগ্রেস প্রার্থী রাহুল গান্ধীকে ৫৫,১২০ ভোটে পরাজিত করেছিলেন স্মৃতি ইরানী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন