কেরালার ওয়াইনাড (Wayanad) লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। শুক্রবার, রাহুলের সাংসদ পদ বাতিলের পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে এই ওয়াইনাড। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ক্ষুব্ধ কংগ্রেসকর্মীরা। জানা যাচ্ছে, শনিবারও সেই রাশ কাটেনি। এদিনও বিক্ষোভের পাশাপাশি কালপেট্টায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছে কংগ্রেস কর্মীরা।
কালপেট্টার কংগ্রেস বিধায়ক টি সিদ্দিকের নেতৃত্বে বিএসএনএল (BSNL) অফিসে ঢোকার চেষ্টা করে কংগ্রেস কর্মীরা। পুলিশ তাদের আটকানোর চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ সহিংস হয়ে উঠলে বিধায়ক সিদ্দিকসহ অন্য কংগ্রেস নেতাদের আটক করে পুলিশ।
মোদী-বিরোধী স্লোগান তুলে একই বিক্ষোভ দেখা গেছে ওয়াইনাড লোকসভা কেন্দ্রের সুলতান বাথেরি, মানন্তবাদি-সহ একাধিক ছোট শহরে। এই বিক্ষোভে কয়েকজন মহিলাও অংশ নিয়েছিলেন।
বিক্ষোভ দেখা গেছে তিরুবনন্তপুরম কর্পোরেশন কাউন্সিলের সভায়। রাহুল গান্ধীর সাংসদপদ খারিজের বিরোধিতা করে সেখানেও বিজেপির বিরুদ্ধে শ্লোগান দিয়েছে কংগ্রেস কর্মীরা ।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে মোদী পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে জেরে, গত বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে সুরাতের একটি আদালত। আর আদালতের রায় ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই, তড়িঘড়ি করে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ করে লোকসভার সচিবালয়।
ফলে, সাংসদ পদ খোয়ানোর পাশাপাশি নির্বাচনে লড়ার অধিকারও হারিয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী, আদালতের সাজা ঘোষণার পর আট বছর নির্বাচনে লড়তে পারবেন না রাহুল।
তবে, সুপ্রিম কোর্ট বা উচ্চতর অন্য কোনও আদালত যদি সুরাত আদালতের রায়ের উপরে স্থগিতাদেশ ঘোষণা করে, তবেই একমাত্র নির্বাচনে লড়ার সুযোগ পেতে পারেন রাহুল গান্ধী
এদিকে, ওয়াইনাড উপনির্বাচনের কথা ভেবে এখন থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিআই (CPI)-র ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে। কারণ, ২০১৯ সালে এই কেন্দ্রে সিপিআইকে পরাজিত করেই সাংসদ হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন