সরাসরি যদি ভাড়া বাড়ানো যেত, তাহলে হয়তো সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হত। তাই তাই সেই সমস্যা যাতে তৈরি না হয়, তার জন্য কিছুটা ঘুরপথে এবার ভাড়া বৃদ্ধি করতে চলেছে দূরপাল্লার ট্রেনের। রেল কর্তৃপক্ষ চাইছে, উন্নত স্টেশনগুলিতে যাতে অত্যাধুনিক মানের পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়, পাশাপাশি স্টেশনের উন্নয়ন ঘটানো যায়। সেই উদ্দেশ্যেই তার খরচ আদায়ের জন্য টিকিটের মূল্য হিসাবে অতিরিক্ত ১০-৫০ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হতে পারে যাত্রীদের।
রেলের এক কর্তা সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ‘এর ফলে আরও বেশি সংখ্যক স্টেশনের মানোন্নয়ন ঘটানো যেতে পারে।’ সম্প্রতি রেলের প্যাসেঞ্জার্স মার্কেটিং বিভাগের পক্ষ থেকে সব জোনের জেনারেল ম্যানেজারকে এই মর্মে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিভাগের ডিরেক্টর বিপুল সিঙ্ঘলের পাঠানো সেই চিঠিতেই বলা হয়েছে, অসংরক্ষিত আসন থেকে বাতানুকূল আসনের জন্য যে টিকিট কাটা হবে, সেই টিকিট মূল্যের সঙ্গে অতিরিক্ত ১০- ৫০ টাকা বেশি দিতে হবে।
রেল বোর্ড যে নির্দেশ জারি করেছে, সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, শ্রেণিভিত্তিক যেসব স্টেশনের মানোন্নয়ন করা দরকার, তার জন্য যা খরচ হবে, তা তোলার জন্য যাত্রীদের টিকিটের ওপর অতিরিক্ত মূল্য ধার্য করা হবে। পাশাপাশি বাড়তে চলেছে প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দামও। তবে শহরতলির প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলিতে ভাড়া বৃদ্ধি করা হবে না।
এই নয়া নির্দেশিকা ঘিরে যে প্রশ্ন উঠছে, তা মূলত বিতর্কিত। রেলের বাজেটেই স্টেশনগুলির মানোন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্ধ করা থাকে। তা হলে ওই একই কাজে কেন অতিরিক্ত টাকা যাত্রীদের গুনতে হবে, তা নিয়ে শোরগোল পড়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন