এত সংখ্যক পদ রাখার কোনও প্রয়োজন নেই। এবার তাই এই অজুহাতে রেলের বিপুল সংখ্যক পদ বিলুপ্ত করার পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা সিইও বিকে ত্রিপাঠী প্রত্যেকটি রেল জোনের জেনারেল ম্যানেজারকে চিঠি লিখে এব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, অপ্রয়োজনীয় পদগুলি চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের অন্যত্র সরিয়ে দিতে হবে। আগামী একমাসের মধ্যেই এই কাজ সেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই পদগুলিতে বিলুপ্ত করা হবে, সেই ইঙ্গিতই রয়েছে তাঁর চিঠিতে।
চেয়ারম্যান চিঠিতে লিখেছেন, রেল কর্মীদের জন্য খরচের ৬৭ শতাংশ অলাভজনক। তাই এইসব পথ ছাঁটাই করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রেলের বিভিন্ন দফতরে প্রযুক্তির ব্যবহার অথবা অন্যান্য কারণে বহু পদ কর্মীহীন অথবা কাজ খুবই সামান্য। কিন্তু অনেক জায়গাতেই রয়েছে কর্মীর অভাব। সেক্ষেত্রে দ্রুত অপ্রয়োজনীয় পদগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে আর ওই পদে যাঁরা আছেন, তাঁদের প্রয়োজনে যেখানে দরকার, সেখানে নিয়োগ করতে হবে সেরকম মনে হলে বাইরে সংস্থার মাধ্যমে অর্থাৎ আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে কিছু কাজ করানো যেতে পারে।
চেয়ারম্যান সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই দিয়ে বলেছেন, অপ্রয়োজনীয় খরচের হার ক্রমবর্ধমান। এভাবে চললে সংস্থার পক্ষে তা আরও অলাভজনক হয়ে উঠবে। এই অবস্থায় মানবসম্পদের যথাযোগ্য ব্যবহারের প্রয়োজন। কোন কোন ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয়তা রয়েছে তা চিহ্নিত করা প্রয়োজন। তিনি লিখেছেন বেয়ারার, অ্যাসিস্ট্যান্ট কুক, ওয়াচার, টাইপিস্ট, স্যানিটারি হেলপার, ডাফট্রি, কার্পেন্টার, পেইন্টার, অ্যাসিস্ট্যান্ট বিলো বয়, লস্কর, গার্ডেনার, অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাটারিং অথবা সেলসম্যান ক্যাটারিং অথবা কিচেন অ্যাসিস্ট্যান্ট, অ্যাসিস্ট্যান্ট ক্যাটারিং ভেন্ডর বা ভালভম্যানের মতো পদগুলিকে চিহ্নিত করা হতে পারে।
আগামী এক মাসের মধ্যেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে প্রতিটি ডিভিশনে তিন সদস্যের কমিটি গড়ে দিতে রেলওয়ে জোনগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই কমিটি তৈরি হবে অ্যাকাউন্টস, পার্সোনেল এবং অন্য আরেকটি বিভাগের একজন করে সদস্য নিয়ে। তাঁরাই অপ্রয়োজনীয় পদ চিহ্নিত করে সারেন্ডার করার কাজ দ্রুত সম্পন্ন করবেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন