সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা। মাত্র ৯ ঘণ্টায় ১২৬.১ মিলিমিটার বৃষ্টির সাক্ষী থাকলো রাজধানী দিল্লি। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে বৃষ্টির পরিমাণ ১৫৩ মিলিমিটার। যা ১৯৮২ সালের জুলাই মাসের পর সর্বাধিক। যদিও রেকর্ড বলছে দিল্লীতে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছিল ২১ জুলাই, ১৯৫৮ সালে। ২৬৬.২ মিলিমিটার।
শনিবার দিল্লিতে ভারী বৃষ্টিপাতের পর কমলা সঙ্কেত জারি করা হয়েছিল। রবিবারও দিল্লিতে ভারী বৃষ্টিপাত হবার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর এবং এদিনও সকাল থেকে বৃষ্টি চলছে। ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের (IMD) পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই হলুদ সঙ্কেত জারি করা হয়েছে।
সাধারণত আইএমডি চার ধরণের সঙ্কেত জারি করে থাকে। যার সবুজ সঙ্কেত অর্থ হল কোনও সতর্কতার প্রয়োজন নেই। হলুদ সঙ্কেত হল সতর্ক থাকার জন্য। কমলা সঙ্কেত জারি করা হয় প্রস্তুতির জন্য এবং লাল সঙ্কেতের অর্থ হল অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আইএমডি আরও জানিয়েছে, শনিবার দিল্লীর তাপমাত্রা ছিল ২৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এই সময়ের সাধারণ তাপমাত্রার তুলনায় ৮ ডিগ্রি নিচে। বাতাসে আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৬ থেকে ১০০ শতাংশ।
আবহাওয়া দপ্তর থেকে রবিবার হাল্কা থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। তাপমাত্রা সর্বাধিক ৩০ এবং সর্বনিম্ন ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
গতকাল দীর্ঘক্ষণ ধরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দিল্লীর বহু রাস্তা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। যার ফলে রাস্তায় রাস্তায় দীর্ঘ ট্রাফিক জ্যাম হয়ে যায়।
আবহাওয়া দপ্তর থেকে দিল্লি ছাড়াও হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, রাজস্থান, পাঞ্জাব এবং জম্মু ও কাশ্মীরে ভারী মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে। গোটা উত্তরভারত জুড়ে দু’দিনের বৃষ্টিতে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন