চলতি বছরে কেমন হবে বৃষ্টি? পৃথক দাবি মৌসম ভবন ও এক বেসরকারি সংস্থার

'স্কাইমেট' হল আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংক্রান্ত একটি বেসরকারি সংস্থা। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, চলতি বছরে দেশজুড়ে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি হতে পারে।
চলতি বছরে কেমন হবে বৃষ্টি? পৃথক দাবি মৌসম ভবন ও এক বেসরকারি সংস্থার
ছবি - প্রতীকী
Published on

বর্তমানে সারা ভারত জুড়েই তীব্র গরমে কার্যত নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। এরই মধ্যে কিছুটা স্বস্তির খবর শোনাচ্ছে মৌসম ভবন। নির্ধারিত সময়েই ঢুকবে বর্ষা এবং বৃষ্টির পরিমাণও স্বাভাবিক থাকবে। তবে 'স্কাইমেট' নামক এক বেসরকারি সংস্থার রিপোর্ট অন্য কথা বলছে।

'স্কাইমেট' হল আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংক্রান্ত একটি বেসরকারি সংস্থা। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, চলতি বছরে দেশজুড়ে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি হতে পারে। যা ভারতের কৃষি ক্ষেত্র এবং অর্থনীতিতে যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে।

বেসরকারি সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, বৃষ্টিপাত অনেকটা নির্ভর করে 'লা নিনা' এবং 'এল নিনো' নামে আবহাওয়ার দুটি অবস্থার ওপর। চলতি বছরটা এল নিনোর। যার ফলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমবে এবং তাপমাত্রা বাড়বে। তবে সব এল নিনোর বছরগুলিতে বৃষ্টিপাত যে কমে সেটাও সঠিক নয়।

লা নিনা এবং এল নিনো শব্দ দুটি স্প্যানিশ শব্দ। 'লা-নিনা'র অর্থ 'ছোট ছেলে' আর 'এল নিনোর' অর্থ ছোট মেয়ে। এল নিনোর ফলে প্রশান্ত মহাসাগরের জল সমুদ্রপৃষ্ঠের স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে বেশি গরম হয়ে যায়। আবার 'লা নিনা'র ফলে পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূল বরাবর দক্ষিণ থেকে উত্তর দিকে স্বাভাবিকের তুলনায় ঠান্ডা সমুদ্র স্রোত বইতে থাকে। যার জেরে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও অস্ট্রেলিয়ার উত্তর অংশে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এই অবস্থার পরিবর্তন তিন থেকে সাত বছর অন্তর অন্তর হয়ে থাকে।

বিশেষজ্ঞদের মতে দেশের চাষের ক্ষেত্রে বৃষ্টিপাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ধান, ভুট্টা, তুলো, সয়াবিনের ফলন বর্ষা নির্ভর। 'স্কাইমেট' জানিয়েছে, এল নিনোর ফলে গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রে, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ এবং রাজস্থানে - অর্থাৎ উত্তর ও মধ্য ভারতে জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসে স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টিপাত হবে।

স্কাইমেট এর রিপোর্টে এও বলা হয়েছে, বর্ষাকালে প্রায় ৮৬৮-৮৭০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। কিন্তু চলতি বছরে ৮২০ মিলিমিটারের আশেপাশে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা ভারতীয় অর্থনীতির ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও চিন্তার বিষয়।

উল্লেখ্য, বেসরকারি সংস্থাটি বৃষ্টিপাতের প্রভাব কম হতে পারে উল্লেখ করলেও মৌসম ভবন অন্য কথা বলছে। মৌসম ভবনের দাবি, দেশে নির্ধারিত সময়ই বর্ষা ঢুকে যাবে। কেরালায় ১ জুন থেকে বর্ষা ঢুকবে। বৃষ্টিপাতের ঘাটতি হওয়ার আপাতত কোনও সম্ভাবনা নেই।

চলতি বছরে কেমন হবে বৃষ্টি? পৃথক দাবি মৌসম ভবন ও এক বেসরকারি সংস্থার
একলাফে তাপমাত্রা বাড়তে পারে ৩-৪ ডিগ্রি, একাধিক জেলায় বইতে পারে ‘লু’!

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in