কলকাতা পুরসভার নির্বাচনে সদ্য ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের। বিপুল সংখ্যক ওয়ার্ডে জিতেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। শু তাই নয়, ভোট শতাংশের নিরিখে গেরুয়া শিবিরকে টেক্কা দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বামেরা। এর আগে কেরলের পুরসভা-পঞ্চায়েত উপনির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছিল বিজেপির। অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্রও একই রকম। কার্যত হালে পানি পায়নি কেন্দ্রের শাসক দল। এবার রাজস্থানের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও পর্যুদস্ত হতে হল তাদের।
প্রত্যাশামতোই রাজ্যের শাসক দল কংগ্রেস ভালো ফল করেছে। শক্তি অনুযায়ী ভালো ফল করেছে মায়াবতীর দল বিএসপি এবং সিপিআইএম। এছাড়া তৃতীয় শক্তি হিসাবে নির্দলরা নজর কাড়া ফলাফল করেছে। রাজস্থানের চার জেলায় (করৌলি, বারান, শ্রী গঙ্গানগর এবং কোটা) মোট ৫৬৮ টি পঞ্চায়েত সমিতির নির্বাচন হয়েছিল। কংগ্রেস একাই জিতেছে ২৭৮টি আসন। বিজেপির দখলে গিয়েছে মাত্র ১৬৫টি।
অর্থাৎ কংগ্রেসের থেকে ১১৩ আসন কম পেয়েছে গেরুয়া শিবির। নির্দলরা জিতে নিয়েছে ৯৭টি আসন। তবে এই নির্দলরা অধিকাংশই কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী বলেই দাবি করছে কংগ্রেস। ১৪ জন বিএসপি প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। সিপিআইএম প্রার্থীরা জিতেছেন ১৩টি আসনে।
স্বাভাবিকভাবেই এই ফলাফলে উচ্ছ্বসিত রাজস্থানের কংগ্রেস শিবির। তাদের দাবি রাজস্থানের ইতিহাসে পঞ্চায়েত ভোটে এটি সবচেয়ে ভালো ফলাফল। অন্যদিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত গেরুয়া শিবির। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের ঠান্ডা লড়াই ইতিমধ্যে প্রকাশ্যে। সামনেই উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তার এই ফলাফল যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের কাছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন