উচ্চ বর্ণের পাত্র থেকে জল খাওয়ার অপরাধে এক দলিত ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল রাজস্থানে। হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন, সেই রাজস্থানেই। যেখানে কিছুদিন আগেই জলের জগ ছোঁয়ার অপরাধে শিক্ষকের হাতে খুন হয় তৃতীয় শ্রেণীর দলিত ছাত্র ইন্দ্র।
মঙ্গলবার এই নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের জয়সলমীরে। বৃহস্পতিবার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চতুরা রাম নামের এক দলিত ব্যক্তি স্ত্রীকে নিয়ে দিগ্গায় যাচ্ছিলেন। যাত্রাপথে একটি মুদিখানার দোকান দেখতে পেয়ে তৃষ্ণার্ত অবস্থায় জলের পাত্র থেকে জল পান করেন ওই দম্পতি। সেই অপরাধে জেরে কিছুক্ষণের মধ্যেই চার-পাঁচ জন যুবক ঘিরে ধরে তাঁদের। চতুরা রামকে হেনস্থা করে তাঁরা। এরপর লোহার রড, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁকে। অভিযুক্তদের দাবি, তাঁরা উচ্চ বর্ণের লোক। চতুরা এবং তাঁর স্ত্রী দলিত হয়ে কেন তাঁদের জলের পাত্র স্পর্শ করেছে?
চতুরার কান এবং শরীরের একাধিক অংশ মারাত্মকভাবে জখম হয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই চারজনের বিরুদ্ধে তফশিলি জাতি ও আদিবাসীদের উপর অত্যাচার প্রতিরোধ আইনের ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত একজন অভিযুক্তকেও গ্রেফতার করেনি পুলিশ।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর দলিতদের উপর আক্রমণের ঘটনা প্রথম নয়। কিছুদিন আগেই রাজস্থানের জালোরে একই ঘটনা ঘটেছিল। জালোরের সুরানা গ্রামের এক বেসরকারি স্কুল সরস্বতী বিদ্যা মন্দিরের ছাত্র ইন্দ্র। তেষ্টা মেটানোর জন্য মাটির পাত্র থেকে জল খাওয়ার অপরাধে মারাত্মক মারধর করেন প্রধান শিক্ষক ছইল সিং। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে আহমেদাবাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানেই মৃত্যু হয় ইন্দ্রর।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন