বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার সমাবেশে ‘পুনিয়া ভাগাও, বিজেপি বাঁচাও’ লেখা পোস্টার। ইতিমধ্যে সেই খবর দিল্লির বিজেপি নেতাদের কাছে পৌঁছে গেছে এবং হাইকমান্ডদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দলের সদর দফতরে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সতীশ পুনিয়া হলেন বিজেপির রাজস্থান শাখার সভাপতি। তাঁর সাথে বসুন্ধরা রাজের গোষ্ঠীর বিরোধ বরাবরই। সূত্রের খবর, পার্টির রাজ্য ইনচার্জ অরুণ সিং বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকে জানিয়েছেন।
বিজেপি সূত্রের খবর আগামী ৫ ডিসেম্বর রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ। তাঁর কিছুদিন পরে আসবেন জে পি নাড্ডা। রাজস্থানে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে বিজেপির টালমাটাল অবস্থা। মূলত সাংগঠনিক ফাঁকফোকর ঢাকা দিতেই একের পর এক কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজস্থানের পাড়ি দিচ্ছেন।
বসুন্ধরা রাজে সম্প্রতি ‘মেওয়ার যাত্রা’র আয়োজন করেছিলেন। যদিও রাজের দাবি, তার এই যাত্রা অরাজনৈতিক। কোভিডের সময় যারা মারা গিয়েছিলেন তাঁদের প্রতি সমবেদনা জানাতে তাঁর এই যাত্রার আয়োজন। কিন্তু তাঁর এই কর্মসূচি নিয়ে খোদ বিজেপি কর্মীরাই প্রশ্ন তুলেছেন।
কয়েকমাস আগেই বিজেপির বিধায়ক কিরণ মহেশ্বরী এবং গৌতম মীনা মারা যান। তাঁদের শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন বিজেপির সমস্ত নেতা কর্মীরা। কিন্তু রাজে এমন সময় তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন, যা নিয়ে কর্মীদের মনে প্রশ্ন জাগতে শুরু করেছে।
প্রসঙ্গত, বিজেপি ধারিয়াওয়াদ এবং বল্লভনগরের দুটি উপনির্বাচনে বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। দলের পরাজয়ের পরেই রাজের অনুগতরা তাঁকে পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করার দাবি তোলেন। ঠিক তারপরেই রাজের মেওয়ার যাত্রা। আশ্চর্যজনকভাবে, তারকা প্রচারক হিসাবে তালিকাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও রাজে কোনও নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেননি।
-With IANS inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন