Rajasthan: কোটাতে আত্মহত্যা ৩ পড়ুয়ার, মানসিক চাপ বাড়াচ্ছে কোচিং সেন্টারগুলি! উঠছে প্রশ্ন

পুলিশ সুপার (কোটা) বলেন, কোনো সুইসাইড নোট মেলেনি। বিহারের দুই পড়ুয়া এখানে পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকত। একজনের বয়স ১৮ ও অন্যজনের বয়স ১৯। ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাদের দেহ।
ছবি - প্রতীকী
ছবি - প্রতীকী
Published on

ফের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল রাজস্থানের কোটায়। সোমবার তিন পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনজনেই বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। কী কারণে এই আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

যারা ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয় সকলের কাছে কোটা নামটা পরিচিত। আসলে কোটা রাজস্থানের একটি জেলা। এই জেলাতে আছে ভারতের একাধিক নামকরা কোচিং সেন্টার। সেইরকমই দুটি কোচিং সেন্টারে পড়ত মৃত অঙ্কুশ, উজ্জ্বল ও প্রণব। অঙ্কুশ এবং উজ্জ্বল দু’জনেই বিহারের বাসিন্দা। একই কোচিং সেন্টারে পড়ত তারা। ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। প্রণব মধ্যপ্রদেশ থেকে কোটাতে নিট (NEET)-র প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। সে পড়ত অন্য একটি কোচিং সেন্টারে।

পুলিশ সুপার (কোটা) বলেন, কোনো সুইসাইড নোট মেলেনি। বিহারের দুই পড়ুয়া এখানে পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকত। একজনের বয়স ১৮ ও অন্যজনের বয়স ১৯। ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তাদের দেহ। অপর একজনের (প্রণব) মৃত্যু সম্ভবত বিষক্রিয়ায় হয়েছে। সকলের মোবাইল পরীক্ষা করা হবে।

উল্লেখ্য, অনেকে অভিযোগ করছেন এই ধরণের কোচিং সেন্টারগুলি সবসময়ই সেরার লড়াইতে মেতে থাকে। যার ফলে মানসিক চাপ পড়ে পড়ুয়াদের ওপর। ঘন্টার পর ঘন্টা পড়তে হয় পড়ুয়াদের। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যেও অনেকে মানসিক চাপের কথা স্বীকারও করেছে।

২০১৬ সালে এক ছাত্রী IIT-JEE পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও আত্মহত্যা করেছিল। ঝাঁপ দেওয়ার সময় সে সমস্ত কোচিং সেন্টার বন্ধ করে দেওয়ার দাবি করেছিল। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, ২০১৯ সালে পড়ুয়াদের ওপর কোচিং সেন্টারগুলির মানসিক চাপ প্রদান কমাতে খসড়া প্রস্তুত করার জন্য কমিটি গঠন করেছিল রাজস্থান সরকার। তবে সেই খসড়া সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।

ছবি - প্রতীকী
নিয়োগ নেই, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়, IIT - IIM-এ শূন্যপদের সংখ্যা ১১০০০! সংসদে চাঞ্চল্যকর তথ্য

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in