মঙ্গলবার রাজ্যসভার কার্যক্রমে বাধাদানের অভিযোগে সপ্তাহের বাকি দিনের জন্য ১৯ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হল। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা হলেন এ এ রহিম, আর. গিরিরাজন, ভি. শিবদাসন, সুস্মিতা দেব, মৌসম নূর, দোলা সেন, শান্তা ছেত্রী, শান্তনু সেন, নাদিমুল হক, আবীর রঞ্জন বিশ্বাস, বি লিঙ্গাইয়া যাদব, রবীন্দ্র ভাদ্দিরাজু, এস কল্যাণসুন্দরম, এন আর ইলাঙ্গো, এম সম্মুগম, দামোদর রাও দিভাকোন্ডা, সন্দোশ কুমার, কানিমোঝি সোমু ও এম এইচ আবদুল্লাহ।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, খাদ্যপণ্যে জিএসটি বসানো এবং গুজরাটে বিষমদ কান্ডে মৃত্যু নিয়ে আলোচনার দাবিতে এদিন রাজ্যসভা এবং লোকসভায় বিরোধীরা আলোচনার দাবি তোলেন। বিরোধী সাংসদদের বিক্ষোভের জেরে দফায় দফায় মুলতুবি হয়ে যায় অধিবেশন।
সংসদীয় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী, ভি. মুরালীধরন বিধি ২৫৬-এর অধীনে সাংসদদের সাসপেন্ড করার জন্য প্রস্তাব উত্থাপন করেন। ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ কর্তৃক প্রস্তাবটি গৃহীত হয় এবং রাজ্যসভা ধ্বনি ভোটে প্রস্তাবটি অনুমোদন করে।
প্রস্তাবের আগে, হরিবংশ এই সদস্যদের নামকরণ করেন এবং তাঁদের নিজ নিজ আসনে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তাঁরা কক্ষ থেকে সরে না যাওয়ায় ডেপুটি চেয়ারম্যান ১৫ মিনিটের জন্য অধিবেশন মুলতবি করেন। বিরোধী সদস্যদের প্রতিবাদের মধ্যে দুপুর ২.৩৮ মিনিটে ফের অধিবেশন শুরু হয়।
ডেপুটি চেয়ারম্যান সাসপেন্ডেড সদস্যদের অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে চলে যেতে অনুরোধ করলেও তাঁরা থেকে যান এবং স্লোগান দিতে থাকেন। এর পর রাজ্যসভা আবার এক ঘন্টার জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়।
এর আগে সোমবার লোকসভায় চার কংগ্রেস সাংসদকে চলতি বাদল অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করেন স্পীকার ওম বিড়লা।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন