কিছুদিন আগে পুণের পোর্শে কাণ্ডের স্মৃতি ফিরল চেন্নাইয়ে। চেন্নাইয়ের ফুটপাতে এক ঘুমন্ত যুবককে বিএমডব্লুউ দিয়ে পিষে দেওয়ার অভিযোগ উঠল সাংসদ কন্যার বিরুদ্ধে। ঘটনায় ওই মহিলাকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও কিছু সময়ের মধ্যে জামিন পেয়ে যান তিনি।
জানা গেছে, সোমবার রাতে ওয়াইএসআর কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ বেদ মস্তানি রাওয়ের কন্যা মাধুরী বিএমডব্লুউ চেপে ফিরছিলেন। মাধুরীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক বান্ধবী। গাড়ি চালাচ্ছিলেন সাংসদ কন্যা নিজেই। পুলিশ সূত্রে খবর,মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন সাংসদ কন্যা। গাড়ি চালাতে চালাতে চেন্নাইয়ের বসন্তনগর এলাকার এক ফুটপাতে তুলে দেন গাড়ি। ওই ফুটপাতে ঘুমাচ্ছিলেন এক যুবক। গাড়ি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তাঁর।
ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি নিয়ে এলাকা ছেড়ে পালান সাংসদ কন্যা। তবে তাঁর বান্ধবী বেশ কিছু সময় স্থানীয়দের সঙ্গে তর্কাতর্কি করেন। পড়ে অবশ্য এলাকা ছেড়ে চলে যান তিনি। এরপর স্থানীয়রা ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুর্ঘটনায় মৃত ওই যুবকের নাম সূর্য। বয়স ২১। পেশায় তিনি একজন পেইন্টার। আট মাস আগে সূর্য বিয়ে করেছেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়ে থানায় জড়ো হন মৃতের আত্মীয়স্বজন এবং স্থানীয়েরা। পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই গাড়িটিকে চিহ্নিত করেছে। এরপর সাংসদ কন্যাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও তার কিছু সময়ের মধ্যে থানা থেকে জামিনে ছাড়া পেয়ে যান মাধুরী।
২০২২ সালে রাজ্যসভার সাংসদ হন বেদ মস্তানি রাও। তার আগে বিধায়কও ছিলেন তিনি। রাজনীতির পাশাপাশি সামুদ্রিক খাবারের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তিনি। তাঁর সংস্থা বিএমআর খুবই জনপ্রিয়। ওই দুর্ঘটনার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়েই মেয়েকে জামিনে মুক্ত করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১৯ মে পোর্শে গাড়ির আঘাতে পুণেতে মৃত্যু হয় দুই তরুণ ইঞ্জিনিয়ারের। গাড়িটি চালাচ্ছিলেন এক ১৭ বছরের নাবালক। মদ্যপ অবস্থায় ছিল ওই কিশোর। পুলিশ সেই অভিযুক্ত কিশোরের বাবা, মা এবং ঠাকুরদাকে গ্রেফতার করেছে। নাবালক হওয়ায় অভিযুক্তকে ‘অবজ়ার্ভেশন হোম’-এ রাখা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন