'মিথ্যা’ ও ‘বিভ্রান্তিকর’ বিজ্ঞাপন মামলায় সুপ্রিম ভর্ৎসনার পরই আদালতের আছে ক্ষমা চাইলেন পতঞ্জলি সংস্থার পরিচালক আচার্য বালকৃষ্ণ। হলফনামার মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তিনি।
প্রথম দফার শুনানির পর আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও কোনো বিবৃতি দেননি আচার্য বালকৃষ্ণ। তারপরই ১৯ মার্চ শীর্ষ আদালত কড়া সুরে জানায়, মামলার পরবর্তী শুনানির মধ্যেই বালকৃষ্ণকে আদালতের কাছে বিবৃতি দিতে হবে। এরপর হলফনামা জমা দিয়ে বালকৃষ্ণ জানান, "সংস্থার তরফে যে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছিল তার জন্য আমি দুঃখিত। আমি এও নিশ্চিত করছি যে ভবিষ্যতে সাংস্থার তরফে এই ধরণে বিজ্ঞাপন দেওয়া হবে না"।
পাশপাশি তিনি জানান, কোম্পানির মূল উদ্দেশ্য হলো পতঞ্জলির পণ্যগুলি খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের দেশের নাগরিকদের সুস্থ জীবন প্রদান করা।
প্রথম শুনানির পর শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, Drugs and Remedies Act-র ৩ এবং ৪ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করেছেন রামদেব এবং বালকৃষ্ণ। অর্থাৎ ওষুধ নিয়ে ভুয়ো বিজ্ঞাপন দেওয়ায় অভিযোগ ছিল দুজনের বিরুদ্ধে।
২০২০ সালে করোনা মহামারীর সময় করোনিল কিট বাজারে এনেছিল পতঞ্জলি। পতঞ্জলি সেই সময় প্রচার করেছিল এই কিট কোভিড মোকাবিলায় সহায়তা করে। ‘করোনিল’ এবং ‘শ্বাসারি বটি’ নামে দু’ধরনের ট্যাবলেট এবং ‘অণু তৈল’ নামের ২০ মিলিলিটারের একটি তেলের শিশি নিয়ে তৈরি ওই কিটের দাম রাখা হয়েছিল ৫৪৫ টাকা। চাইলে আলাদা ভাবে ট্যাবলেট এবং তেল কেনা যাবে বলেও জানানো হয়েছিল।
আইএমএ–র অভিযোগ ছিল, কোভিডের সময় কোভিড প্রতিরোধী না-হওয়া সত্ত্বেও শুধু করোনিল কিট বিক্রি করেই আড়াইশো কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছিল রামদেবের পতঞ্জলি। গত বছরের নভেম্বরে মামলাটির শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনী প্রচার বন্ধ না করলে পতঞ্জলি আয়ুর্বেদ সংস্থাকে জরিমানার মুখে পড়তে হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন