অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সুপ্রিমকোর্টে সমালোচিত হলেন রামদেব। শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয় আয়ুর্বেদকে জনপ্রিয় করার জন্য অন্য চিকিৎসা পদ্ধতিকে অপমানের অধিকার তাঁর নেই।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)-র একটি মামলার শুনানি চলছিল। সেখানেই ভর্ৎসনার শিকার হন রামদেব। প্রধান বিচারপতি এন ভি রামনা প্রশ্ন করেন, বাবা রামদেব কেন অ্যালোপাথি ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন? তিনি যোগব্যায়ামকে জনপ্রিয় করছেন, ভালো কথা। কিন্তু তিনি অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থাr সমালোচনা করতে পারেন না।
আইএমএ অভিযোগ করে রামদেব অ্যালোপ্যাথি ব্যবস্থা ও আধুনিক ওষুধের প্রয়োগকে অপমান করেছেন। কোভিডের সময় তাঁরা নিজেদের জীবন বাজি রেখে মানুষের চিকিৎসা করে করছিলেন। গত সপ্তাহে দিল্লি হাইকোর্টও আয়ুর্বেদ নিয়ে ভুল তথ্য দিতে নিষেধ করে রামদেবকে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ভারতে কোভিড-এর দ্বিতীয় ঢেউতে মারা যান বহু মানুষ। সেই সময় অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরব হন রামদেব। তিনি বলেন, অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের কারণে লক্ষ লক্ষ লোক মারা গেছেন। এমনকি যাঁরা অক্সিজেন বা চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন, তাঁদের থেকেও অ্যালোপ্যাথির কারণে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও অনেকের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে একটি সংবাদ মাধ্যমে আইএমএ দাবি করে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উচিত রামদেবের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া। তার সাথে মহামারী রোগ আইনের অধীনে রামদেবের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। কারণ তিনি অযৌক্তিক বিবৃতি দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন এবং বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক ওষুধের মানহানি করেছেন। তারা এও অভিযোগ করেন রামদেব পতঞ্জলির কোরোনিলের ব্যবহার পদ্ধতি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করছেন। যা নিয়ে আদালতে মামলাও হয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন