মহিলাদের সম্পর্কে অশ্লীল মন্তব্য করার অভিযোগ উঠলো রামদেবের বিরুদ্ধে। তাঁর কথায়, মহিলাদের শাড়ি পরলেও যেমন দেখতে সুন্দর লাগে, তেমন কিছু না পরলেও দেখতে সুন্দর লাগে। যোগগুরুর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে ক্ষমা চাওয়ার দাবি তুলেছে দিল্লি মহিলা কমিশন।
শুক্রবার থানের এক শিবিরে যোগ প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন রামদেব। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফডনবীশের স্ত্রী অম্রুতা ফডনবীশ এবং মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের পুত্র শ্রীকান্ত। এই অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে রামদেবকে মহিলাদের সম্পর্কে বিতর্কিত, অবমাননাকর মন্তব্য করতে দেখা গেছে। তবে এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে রামদেব হেসে হেসে বলছেন, "আমি দেখতে পাচ্ছি সবাইকে খুব খুশি দেখাচ্ছে। আপনাদের সকলের ভাগ্য সুখের হোক। সামনে যারা বসেছেন তাঁরা শাড়ি পরার সুযোগ পেয়েছেন। যাঁরা পিছনে বসেছেন তাঁরা সুযোগ পাননি। তাঁরা সম্ভবত বাড়ি থেকে শাড়ি এনেছিলেন কিন্তু সময় পায়নি। চেঞ্জ করে নিন।"
এরপরই যোগগুরু বলেন, "আপনাদের সবাইকে শাড়িতে সুন্দর লাগছে। অম্রুতাজির মতো সালোয়ার স্যুট পরলেও মেয়েদের ভালো লাগে। আর আমার মতো যদি কিছু নাও পরে থাকেন, তাহলেও আপনাদের ভালো লাগে।"
রামদেব হেসে হেসে এই কথা বললেও দর্শকরা যে তাঁর এই মন্তব্যে খুশি হননি তা তাঁদের অভিব্যক্তি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তাঁদের অবাক দৃষ্টিতে একে অপরের দিকে তাকাতে দেখা যাচ্ছে। কেবল আম্রুতা ফডনবীশকে হাসতে দেখা গেছে।
যদিও এরপরও থামেননি যোগগুরু। পতঞ্জলির কর্ণধার বলেন, "আমরা সামাজিক নিয়মের জন্য পোশাক পরে থাকি। শিশুদের কোন পোশাক পরতে হয় না। আমরা তো আট-দশ বছর বয়স পর্যন্ত নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াতাম।"
রামদেবের এই ভিডিও নিজের টুইটারে শেয়ার করে দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল বলেন, "মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রীর সামনে বসে মহিলাদের নিয়ে রামদেব যে মন্তব্য করেছেন তা অশালীন এবং নিন্দনীয়। এই বক্তব্যে সমস্ত মহিলারা আহত হয়েছেন। বাবা রামদেবজির উচিত সমস্ত দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন