'গুজরাট ফাইলস' (Gujrat Files)-এর লেখিকা ও সাংবাদিক রানা আইয়ুব-এর অ্যাকাউন্ট ‘উইথহোল্ডস’ (Withholds)-এর নোটিশ পাঠিয়েছে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। রবিবার, সেই নোটিশ টুইটারে পোস্ট করেছেন রানা আইয়ুব। যেখানে লেখা আছে, ২০০০ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনের আওতায় ভারতে তাঁর অ্যাকাউন্টটি ‘উইথহোল্ডস’ বা ‘নিয়ন্ত্রণ’ করা হয়েছে। যে বিষয়ে বিস্মিত রানা আইয়ুব ট্যুইটারে লেখেন, ‘হ্যালো @টুইটার, এটি আসলে কী?’
ট্যুইটারের যে নোটিশ আইয়ুব পোস্ট করেছেন তাতে লেখা আছে, ‘ভারতের স্থানীয় আইন মেনে চলতে ট্যুইটার বাধ্য। তাই দেশের তথ্য প্রযুক্তি আইন, ২০০০- এর আওতায় উল্লেখিত অ্যাকাউন্টটি ভারতে ‘উইথহেল্ড’ করা হচ্ছে। তবে, অন্যত্র এই আকাউন্টের পোস্ট দেখা যাবে।‘
একইসঙ্গে ট্যুইটারের নোটিশে বলা হয়েছে, ‘যারা ট্যুইটার ব্যবহার করেন, সেই সমস্ত মানুষদের বক্তব্যকে আমরা সুরক্ষিত করি এবং সম্মান জানাই। যদি কোনও স্বীকৃত সংস্থা (যেমন আইন প্রয়োগকারী বা সরকারী সংস্থা)-র কাছ থেকে কোনো অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট সরানোর অনুরোধ আসে, তখন সেই বিষয়টি অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের জানানো আমাদের নীতি৷ আমরা ব্যবহারকারীদের নোটিশ দিই, যে দেশ থেকে অনুরোধটি এসেছে সেখানে তিনি থাকেন কি না।‘
ট্যুইটারে রানা আইয়ুবের এই পোস্ট নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। টেনিস কিংবদন্তী মার্টিনা নাভ্রাতিলোভা লিখেছেন, ‘তাহলে এরপর কে? খুবই ভয়ঙ্কর...’
প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও শশী শেখর ভেম্পতি জানিয়েছেন, ট্যুইটারের এই নোটিশটি ‘হতে পারে একটি ‘বাগ’ (bug) বা অতীতের ঘটনার পরিপেক্ষিতে কোনও প্রতিক্রিয়া।‘ ট্যুইটারে তিনি লেখেন, ’ট্যুইটার ইন্ডিয়ার মাধ্যমে সাধারণের উদ্দেশ্যে ভারত সরকারের প্রচলিত অনলাইন সেন্সরশিপ সংক্রান্ত অনেক ‘ইঙ্গিতপূর্ণ’ (hyperventilating) ট্যুইট লক্ষ্য করেছি।‘ আমিও গত বছর ট্যুইটারের কাছ থেকে এমনই ই-মেল পেয়েছিলাম।
শশী শেখর ভেম্পতি’র টুইটার অ্যাকাউন্টও ‘উইথহোল্ডস’ (Withholds) করা হয়েছিল। গত বছর কৃষক আন্দোলনের সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার অনুরোধের ভিত্তিতে অ্যাকাউন্ট ‘উইথহোল্ডস’ বা আটকে রাখা হয়েছিল, তাদের মধ্যে শশী শেখর ভেম্পতি ছিলেন।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে সাংবাদিক রানা আইয়ুবের ১.৭৭ কোটি টাকা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED) বাজেয়াপ্ত করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে অর্থ পাচার এবং তহবিল তছরুপের অভিযোগ আনা হয়েছে।
‘হিন্দু আইটি সেল’ নামে এক এনজিওর প্রতিষ্ঠাতা এবং গাজিয়াবাদের ইন্দিরাপুরমের বাসিন্দা বিকাশ সংকৃত্যায়নের দায়ের করা FIR-এর ভিত্তিতে মামলা দায়ের করে গাজিয়াবাদ পুলিস। সেই মামলার জেরেই রানা আইয়ুবের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন