বুধবারই এনসিপি মুখপাত্র নবাব মালিক অভিযোগ করেছিলেন কর্ডেলিয়া ক্রুইজে তল্লাশির সময় সেখানে এনসিবি-র আধিকারিকরা ছাড়াও আরও দুজন ছিলেন। যাঁদের একজনকে বিজেপি ভাইস প্রেসিডেন্ট বলে তিনি উল্লেখ করেছিলেন।
এদিনই সন্ধ্যেয় দ্য নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র পক্ষ থেকে জানানো হল মণীশ ভানুশালী এবং কিরণ গোসাভি ওইদিনের তল্লাশির সময় এনসিবি দলের সঙ্গে ইন্ডিপেন্ডেন্ট উইটনেস হিসেবে ছিলেন। এই দুজন সহ মোট ছ’জন ইন্ডিপেন্ডেন্ট উইটনেস ওইদিন এনসিবি দলের সঙ্গে ছিলো বলেও জানানো হয়েছে। যদিও এর পাশাপাশি এনসিবি তাদের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এনসিপি মুখপাত্রকে উদ্দেশ্য করে জানিয়েছে যে তিনি এজেন্সির কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
এনসিবি-র ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ্ঞানেশ্বর সিং নবাব মালিকের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন মালিক এজেন্সির ইমেজকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছেন।
সিং আরও জানিয়েছেন, সূত্র থেকে খবর পেয়ে কর্ডেলিয়া ক্রুইজে ২ অক্টোবর অভিযান চালানো হয় এবং ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যাঁদের মধ্যে ছিলেন বলিউড তারকা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খান। এছাড়াও বিক্রান্ত চোকার, ইশমিত সিং চাড্ডা, আরবাজ এ মার্চেন্ট, মোহক জয়সোয়াল, মুনমুন ধামেচা এবং নূপুর সাজিতা। এঁদের কাছ থেকে কোকেন, চরস সহ বিভিন্ন ধরণের ড্রাগ উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও নগদ ১ লক্ষ ৩৩ হাজার টাকা উদ্ধার হয়।
এঁদের মধ্যে মোহক জয়সোয়ালকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর যোগেশ্বরী এলাকা থেকে আবদুল কাদির শেখ নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে মেফেড্রোন উদ্ধার করা হয়। ইশমিত সিং চাড্ডাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর গ্রেপ্তার করা হয় শ্রেয়স সুরেন্দ্র নাইয়ার বলে এক ব্যক্তিকে। তাঁর কাছ থেকে চরস উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও গ্রেপ্তার করা হয়েছে মণীশ রাজগোড়িয়া নামের এক ব্যক্তিকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে গোপালজী আনন্দ, সমীর শেহগল, মানব সিঙ্ঘল এবং ভাস্কর অরোরাকে।
সিং জানিয়েছেন ২ অক্টোবর তল্লাশির দিন এনসিবি আধিকারিকদের সঙ্গে ইন্ডিপেনডেন্ট উইটনেস হিসেবে ছিলেন মণীশ ভানুশালী, কিরণ গোসাভি, প্রভাকর সেইল, আব্রে গোমস, আদিল উসমানী, ভি অয়াইগানকর, অপর্ণা রানে, প্রকাশ বাহাদুর, শোয়েব ফৈজ এবং মুজাম্মিল ইব্রাহিম।
যদিও, ভানুশালী স্থানীয় এক টিভি চ্যানেলকে জানিয়েছেন এই রেভ পার্টির কথা তিনিই এনসিবিকে জানিয়েছিলেন এবং তাদের একজন উইটনেস হিসেবে সহায়তা করেছেন।
মালিকের অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ জানিয়েছেন, মালিক হতাশা থেকে এরকম কথা বলেছেন। কারণ ২০২১-এর জানুয়ারিতে তাঁর জামাইকে ড্রাগ কেসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে তিনি হতাশা থেকে এরকম বলছেন।
- with Agency Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন