একমাস চারদিনের মাথায় আবার রেপো রেট (Repo Rate) বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলো রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI)। বুধবার, সকাল ১০ টা নাগাদ আরবিআই-য়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস (Shaktikanta Das) জানিয়েছেন, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রেপো রেট আরও ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হচ্ছে। ফলে নতুন রেপো রেট বেড়ে দাঁড়াবে ৪.৯ শতাংশে।
এর আগে গত ৪ মে, ৪০ বেসিস পয়েন্ট রেপো রেট বাড়িয়েছিল আরবিআই। একমাস না পেরোতেই দ্বিতীয় দফায় আবার রেপো রেট বাড়ল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। মাত্র ৩৪ দিনের মধ্যে রেপো রেট মোট ৯০ বেসিস পয়েন্ট বাড়ায় সাধারণ মানুষের উপর ঋণের ইএমআইয়ের বোঝাও বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
বর্তমানে বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে এবং এর প্রভাব পড়ছে ভারতেও। চলতি বছরে ভারতে মুদ্রাস্ফীতির হার ২ থেকে ৬ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেছিল আরবিআই। কিন্তু, তা আর হচ্ছে না। মুদ্রাস্ফীতির হার ৬.৭ শতাংশ থাকবে বলে জানিয়েছেন আরবিআই-য়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস।
মূলত, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিকে যে সুদের হারে স্বল্পমেয়াদি ঋণ দেয় তাকে রেপো রেট বলা হয়। এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে সেই রেপো রেট বাড়ানোর সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিয়েছে মনেটারি পলিসি কমিটি (MCP)।
এখানেই শেষ নয়, বৃহত্তর বাজারের অনুমান, আগস্ট মাসে আবার রেপো রেট বাড়াতে পারে RBI। মহামারী কালে রেপো রেটের হারকে ছাড়িয়ে যেতে পারে এই মাত্রা।
এই রেপো রেট বাড়ানো নিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সাধারণত মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতেই সুদের হার বাড়ানো হয়ে থাকে। এতে প্রথমত, গ্রাহকদের লাগামছাড়া ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে ব্যাঙ্কগুলিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দ্বিতীয়ত, সহজলভ্য ঋণ না পাওয়ায় বিলাসবহুল দ্রব্য কেনাকাটার প্রবণতা কমতে থাকে সাধারণ মানুষের মধ্যে। সে ক্ষেত্রে, চাহিদার অভাবে দামও কমতে থাকে বিলাসবহুল দ্রব্যের।
উল্লেখ্য, এর আগে দেশে মহামারী করোনার প্রকোপ দেখা দেওয়ার পর ১১৫ বেসিস পয়েন্ট কমানো হয়েছিল রেপো রেট । মুদ্রাস্ফীতি ও নগদ প্রবাহের ভারসাম্য বজায় রাখতে রেপো রেট ও রিভার্স রেট কমানো হয়েছিল। কিন্তু, বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা ব্যতিক্রম হওয়ায় রেপো রেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরবিআই।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন