সনাতন ধর্মকে অপমান সংক্রান্ত মামলায় মাদ্রাজ হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন স্ট্যালিন-পুত্র উদয়নিধি স্ট্যালিন। পাশাপাশি ডিএমকের আরও দুই নেতার সাংবিধানিক পদ খারিজের আর্জিও খারিজ করল হাইকোর্ট।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে সনাতন ধর্ম নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন উদয়নিধি স্ট্যালিন। হাইকোর্টে উদয়নিধি এবং আরও দুই ডিএমকে নেতা শেখর বাবু ও আন্দিমুথু রাজার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে হিন্দুত্ববাদীরা। উদয়নিধি এবং শেখর বাবুকে মন্ত্রিত্ব থেকে বরখাস্ত করা এবং আন্দিমুথু রাজার সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়েছিল তারা। তাদের দায়ের করা রিট পিটিশনও গ্রহণ করেনি মাদ্রাজ হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, উদয়নিধির মন্তব্যে ভুল ছিল ঠিকই কিন্তু কোনো আদালতই তাঁকে দোষ সাব্যস্ত করেনি।
উদয়নিধির আইনজীবী জানান, আদালতে বড় জয় হয়েছে আমাদের। বিজেপি উদয়নিধির মন্তব্যকে বিকৃত করে প্রচার করেছে। ডিএমকে নেতা হিন্দুদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেননি। তিনি বর্ণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে চেয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, উদয়নিধি স্ট্যালিন সনাতন ধর্মকে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার মতো রোগের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, “সনাতন ধর্ম সামাজিক বিচারের ধারণার বিরোধী এবং একে অবিলম্বে দেশ থেকে নির্মূল করে দেওয়া উচিত।”
স্ট্যালিনপুত্রকে সেই সময় আক্রমণ করেছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছিলেন, “সনাতন ধর্ম নিয়ে ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিনের পুত্রের মন্তব্য থেকেই স্পষ্ট যে বিরোধী ইন্ডিয়া শিবির হিন্দুত্বকে ঘৃণা করে এবং এটা আমাদের ঐতিহ্যের উপর আক্রমণ।”
কিন্তু ছেলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন। তিনি বলেন, “সনাতনে প্রচারিত যে নীতিগুলি সমাজে জাতি, উপজাতি ও মহিলাদের মধ্যে বৈষম্য করে সেই নীতি সম্বন্ধেই কথা বলেছেন উধয়নিধি। কোনও ধর্ম বা ধার্মিক বিশ্বাসকে আঘাত করার কোনও অভিপ্রায় তাঁর ছিল না।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন