রবিবার মধ্যরাতে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী অঞ্চলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের পাশাপাশি সেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব দেখা গিয়েছে মিজোরামেও। জানা গেছে, রেমালের প্রভাবে ভূমিধসের ফলে মিজোরামে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। যার মধ্যে কেবল একটি পাথর খাদান ধসেই ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী লালদুহোমা এক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, সকাল ১১.১৫ মিনিট পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন তিনি। এর মধ্যে আইজল জেলার মেলথুম এবং হ্লিমেনের মধ্যে অবস্থিত একটি পাথর খাদানের মধ্যে নামা ধস থেকে ১১টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। খাদানের ভিতরে আরও অনেকের আটকে থাকার আশঙ্কা করছেন তিনি। মৃতদেহের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা। নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, “আমরা ত্রাণ কাজের জন্য ১৫ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছি। আমরা নিহতদের পরিবারের পাশেও রয়েছি সব রকম সাহায্যের জন্য। ঝড় এখন কমছে কিন্তু রাজ্যের অনেক অংশের অবস্থা খুবই খারাপ। যে কারণে তথ্য সংগ্রহ করা এবং প্রতিক্রিয়া জানানো কঠিন হয়ে পড়ছে।“ পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, মৃতদের পরিবার পিছু ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ অনুমোদন করা হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
রেমালের প্রভাবে ইতিমধ্যেই মিজোরামের বিস্তীর্ণ এলাকায় উপড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি, বড় গাছ। রাজ্যের সমস্ত স্কুল, ব্যাঙ্ক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিসগুলিকে পরিষেবা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবা অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সরকারি ও বেসরকারি অফিসগুলিকে ওয়ার্ক ফ্রম হোম মোডে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মিজোরাম ছাড়াও অন্যান্য উত্তর-পূর্ব রাজ্য যেমন অসম এবং মেঘালয়ও মঙ্গলবার ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অসমের হাফলং এবং শিলচরের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ সম্পূর্ণভাবে বিঘ্নিত হয়েছে, ঝড়ে রাস্তার একটি অংশ ভেসে গেছে বলে খবর। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিন অসম এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে ভারী বৃষ্টি চলবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন