পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নর পদ থেকে কিরণ বেদীর অপসারণকে "জনগণের জয়" হিসেবে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী বেলু নারায়ণস্বামী। তাঁর অভিযোগ, বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন কিরণ বেদী। বিজেপি নেতারা যা করতে বলতেন তাই করতেন। পুদুচেরির সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজে বাধা দিতেন।
মঙ্গলবার রাতে কিরণ বেদীকে পুদুচেরির উপ-রাজ্যপালের পদ থেকে অপসারিত করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এরপর এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে নারায়ণস্বামী বলেন, "ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য আমরা যে লড়াই চালাচ্ছি, সেই লড়াইয়ে একটি সাফল্য এই অপসারণ। পুদুচেরীর জনগণ কিরণ বেদীর অপসারণ উদযাপন করছেন।"
মুখ্যমন্ত্রী নারায়ণস্বামীর সাথে কিরণ বেদীর লড়াই দীর্ঘদিনের। এর আগে একাধিকবার তাঁর অপসারণের দাবি তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, "গত সাড়ে ৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা কিরণ বেদীর অপসারণের দাবি তুলেছিলাম। পুদুচেরীর উন্নয়নমূলক প্রকল্পে বাধা দিচ্ছিলেন উনি। নির্বাচিত সরকারকে উপেক্ষা করে সমস্ত কাজে হস্তক্ষেপ করতেন। পুদুচেরির বিজেপি নেতারা যা বলতেন তাই করতেন উনি।"
কিরণ বেদীর অপসারণ এমন সময় হয়েছে যার কয়েক ঘন্টা আগেই কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিধায়ক জন কুমার। সোমবার দলত্যাগ করেছেন আর এক বিধায়ক মাল্লাডি কৃষ্ণ রাও। গত মাসে নমসশিবম এবং ই থেপ্পাইজন দল ছেড়েছেন। কয়েকদিনের মধ্যেই চার বিধায়কের পদত্যাগে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস। ৩০ সদস্য বিশিষ্ট বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা এখন ১০।
যদিও এতকিছুর পরেও সংবাদমাধ্যমে নারায়ণস্বামী জানিয়েছেন, "আমাদের সরকার সংখ্যালঘিষ্ঠ না।" এর পিছনে বিজেপির হাত থাকার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, "অন্যান্য রাজ্যগুলিতে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে ফেলে দেওয়ার জন্য বিধায়কদের কিনেছে বিজেপি। মণিপুর, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ একাধিক রাজ্যে এরকম করেছে বিজেপি। জনগণও জানে এটা।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন