শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছেন। এরপরেই বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) বাতিল এবং জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা পুনরায় লাগু করার জন্য কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়ছে। একদিকে মুসলিম নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে UAPA এবং CAA প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ করেছেন। অন্যদিকে তখন জম্মু-কাশ্মীরের নেতারা ৩৭০ ধারা পুনরায় লাগু করার দাবি করছেন।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এই দাবিগুলি নিয়েই বিরোধীরা সরকারকে কোণঠাসা করবে বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা। তিনটি কৃষি আইন বাতিল করতে বাধ্য হয়ে ইতিমধ্যেই বেশ ব্যাকফুটে আছে সরকার। সামনেই উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তবে ৩৭০ ধারা এবং CAA নিয়ে বিরোধীদের মধ্যেও অনেক মতানৈক্য আছে। বেশকিছু বিরোধী দল ভোটের আগে এই ইস্যুতে সরব নাও হতে পারে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে সরকার কৃষি আইনের ইস্যুতে পিছিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে বিরোধী দলের নেতারা আনন্দিত হতেই পারে। তবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) এবং ৩৭০ ধারার ইস্যু যদি উত্থাপিত হয়, বিজেপির পক্ষে তা ভালোই হবে।
জম্মু-কাশ্মীরের পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি মেহবুবা মুফতি বলেছেন, “ভারতীয় সংবিধানের অবমাননার মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে ফেলে ক্ষমতাহীন করা হয়েছিল শুধুমাত্র তাঁদের ভোটারদের খুশি করার জন্য। আমি আশা করি ২০১৯ সালের আগস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে করা অবৈধ পরিবর্তনগুলিকে তাঁরা ফিরিয়ে দেবেন।”
জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স (JKNC) নেতা ফারুক আবদুল্লাহ বলেছেন – “কেন্দ্রীয় সরকারকে অবশ্যই ৩৭০ ও ৩৫-ক ধারা পুনরায় জম্মু-কাশ্মীরে লাগু করতে হবে।” জামাত-ই-ইসলামী হিন্দের সভাপতি সৈয়দ সাদাতুল্লাহ হুসাইনি বলেছেন, “আমরা সরকারকে অনুরোধ করছি অন্যান্য জনবিরোধী ও সংবিধান বিরোধী আইনগুলি যেমন CAA, NRC-র দিকেও নজর দিতে। সেগুলিও খুব তাড়াতাড়ি প্রত্যাহার করা হোক। আমরা খুশি যে প্রধানমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত কৃষকদের দাবি মেনে নিয়েছেন। এটা আগে করা হলে অনেক ক্ষতি এড়ানো যেত।”
মজলিস-ই-মুশাওয়ারাতের সভাপতি নাভিদ হামিদ বলেছেন, “CAA এবং UAPA সহ সমস্ত আইন প্রত্যাহার করা দরকার। যে মন্ত্রীর ছেলে লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন অবিলম্বে তাঁকে বরখাস্ত করতে হবে। কৃষক আন্দোলনের সময় মারা যাওয়া সমস্ত কৃষকদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণও দিতে হবে।”
জম্মু-কাশ্মীরের নেতাদের দাবি – CAA বিরোধী আন্দোলন কৃষকদের কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে উত্সাহিত করেছিল। সরকারের এখনই CAA প্রত্যাহার করা উচিত। তাঁদের কথায় - “সৎ উদ্দেশ্যে ধৈর্যের সাথে আন্দোলন চালালে একদিন সাফল্য আসবেই।”
- with IANS inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন