সুপ্রিম কোর্টে খারিজ হয়ে গেল আদানিকাণ্ডে দুই আইনজীবীর দায়ের করা মামলা। তাঁরা আবেদন করেছিলেন, সংবাদমাধ্যমে আদানি নিয়ে যেন কোনো খবর না করা হয়। কিন্তু সেই আবেদনে বিশেষ লাভ হয়নি। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় পরিষ্কার জানিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় কোনো হস্তক্ষেপ করা হবে না।
আদানি গোষ্ঠী নিয়ে হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে। একাধিক সংবাদমাধ্যমে রিপোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনাও করা হয়। এই রিপোর্ট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়। আইনজীবী এম এল শর্মা ও আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি সংবাদমাধ্যমে আদানি সম্পর্কে আলোচনার বিরোধিতা করে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তাঁরা বলেছিলেন, সংবাদমাধ্যমগুলিতে পরিকল্পিত ভাবেই আদানির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। যতদিন না সুপ্রিমকোর্টে আদানি নিয়ে কোনো রায় দান হচ্ছে ততদিন হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট নিয়ে খবর করা বন্ধ করুক সংবাদমাধ্যমগুলি।
শুক্রবার সুপ্রিমকোর্টে মামলাটির শুনানি ছিল। প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা কখনই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে পারি না। সংবাদমাধ্যম হচ্ছে গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সুপ্রিমকোর্ট এই ধরণের কাজ কোনো মতে করতে পারে না। আর আমরা এই বিষয়ে খবর বন্ধ করার কোনও নির্দেশ দেব না।
উল্লেখ্য, আদানিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ওই দুই আইনজীবীর মামলা সহ মোট চারটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিমকোর্টে। বাকি দুটি করেছিলেন কংগ্রেস নেত্রী জয়া ঠাকুর ও সমাজকর্মী মুকেশ কুমার। এদিন দুটি মামলা খারিজ হওয়ার ফলে বাকি দুটি বিচারাধীন থাকল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জালিয়াতির যে অভিযোগ উঠেছে, তা পরীক্ষা করার জন্য এক বিচারপতি সহ বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল গঠনের জন্য পরামর্শ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়েছিল, শেয়ার বাজারে ভারতীয় বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত করার জন্য একটি শক্তিশালী ব্যবস্থা থাকা উচিত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন