ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে 'রিসর্ট পলিটিক্স'-র আতঙ্ক। আগামী সোমবার বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করবেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন। তার আগে জেএমএম-আরজেডি-কংগ্রেস জোট সরকারের সমর্থনে থাকা ৪০ জন বিধায়ককে পাঠানো হলো অন্য রাজ্যে।
শুক্রবারই ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন প্রবীণ জেএমএম নেতা চম্পাই সোরেন। শপথ গ্রহণের ১০ দিনের মধ্যে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে তাঁকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় মোট ৮০টি আসন। ফলে চম্পাই সোরেনের দরকার ৪১ জন বিধায়কের সমর্থন। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের মোট বিধায়ক সংখ্যা ৪৬ জন। অন্যদিকে এনডিএ-র হাতে আছে ৩২টি আসন। ফলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের আগে বেশ চাপেই আছেন চম্পাই।
সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার জোট সরকার থেকে আগেই ৪ জন বিধায়ক সমর্থন তুলে নিয়েছেন। ফলে সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪২। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি। শোনা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই নাকি সরকার গড়তে একাধিক বিধায়কের সাথে কথা বলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। দল ভাঙানোর কাজ থেকে বিজেপিকে বিরত রাখতে প্রায় ৪০ জন বিধায়ককে তেলেঙ্গানার হায়দ্রাবাদে পাঠানো হয়েছে বলেই খবর।
ঝাড়খণ্ডের কংগ্রেস নেতা গুলাম আহমেদ মীর বলেন, "৫ ফেব্রুয়ারি ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় ফ্লোর টেস্ট হবে। সমস্ত জোট প্রার্থীকেই তার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। কিন্তু তার আগে সকলকে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। বিজেপি চাইছে ঝাড়খণ্ডে সরকার ভেঙে দিতে। কিন্তু ইন্ডিয়া জোট তা হতে দেবে না। বিজেপির সমস্ত চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো আমরা।"
তবে নিজের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে আত্মবিশ্বাসী চম্পাই। তিনি বলেন, তাঁর সমর্থনে ৪৩ জন বিধায়ক রয়েছে। রাজ্যপাল ১০ দিন সময় দিলেও চম্পাই ৫ ফেব্রুয়ারিকে বেছে নেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন