আবার শিরোনামে যোগী রাজ্য। সৌজন্যে ১০০ কোটি টাকার স্কলারশিপ দুর্নীতি। এই দুর্নীতির তদন্তে লখনউ, সীতাপুর, হারদোই এবং ফারুখাবাদের তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)।
অভিযোগ উঠেছে, রাজ্যের প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশাল অঙ্কের স্কলারশিপ বরাদ্দ করেছিল সরকার। কিন্তু, সেই অর্থ চুরি করেছে এক চক্র। বেনামে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপের টাকা হাতানো হয়েছে। যার পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি টাকা। আর, এই কাণ্ড ঘটেছে ২০১৩ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে।
এই কেলেঙ্কারি সামনে আসার পরে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্টের অধীনে মামলা দায়ের করে ইডি। সেই মামলার তদন্তে গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তবে, এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করেনি ইডি (ED)।
জানা যাচ্ছে, ফার্মা স্টাডির কোর্স অফার করেছিল উত্তরপ্রদেশের একাধিক মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখানে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার জন্য স্কলারশিপ দিয়েছিল সরকার। অভিযোগ, সেই স্কলারশিপ হাতানোর জন্য জাল শংসাপত্র তৈরি এবং ভুয়ো ছাত্রীছাত্রীদের নাম নথিভুক্তি করেছিল ইনস্টিটিউটগুলি।
ইডি সূত্রে খবর, ফার্মা স্টাডির কোর্স অফার করা মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। তদন্তে জানা গেছে, সরকারী আধিকারিকদের সাথে যোগসাজশ করেই এই কেলেঙ্কারি করেছে বেসরকারী মেডিকেল ইনস্টিটিউটগুলি।
জানা যাচ্ছে, ২০১৭ সালে প্রথমে এই কেলেঙ্কারি নিয়ে এফআইআর দায়ের হয়। মামলার তদন্ত শুরু করে ইউপি ভিজিল্যান্স বিভাগ। পরে, মামলার গুরুত্ব বিচার করে, ইডিকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ইডি সূত্রে খবর, এই কেলেঙ্কারির পরিমাণ ১০০ কোটি টাকারও বেশি হতে পারে।
শুক্রবার তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে ৩৬ লক্ষ টাকা এবং ৯৫৬ ডলার বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, ফিনো পেমেন্ট ব্যাঙ্কের বহু এজেন্ট এই কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত।
যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কলেজ ED-র নজরে রয়েছে, সেগুলি হল - লখনউয়ের এসএস ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট, হাইজিয়া কলেজ অফ ফার্মাসি, হাইজিয়া ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসি, সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ফার্মাসি, লখনউ ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড এডুকেশন, ফারুখাবাদের ডঃ ওমপ্রকাশ গুপ্ত ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি, হরদোইয়ের ডঃ ভীমরাও অম্বেডকর ফাউন্ডেশন অ্যান্ড জীবিকা কলেজ অফ ফার্মাসি, আরপি ইন্টার কলেজ, জ্ঞানবতী ইন্টার কলেজ এবং উচাতার মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন