RS Election: সুভাষ চন্দ্রের পরাজয়ে ক্ষুব্ধ BJP, রাজস্থানে নেতৃত্ব বদলের সম্ভাবনা প্রবল

দলেরই বিক্ষুব্ধ বিধায়ক শোভারানী কুশওয়াহার ক্রস ভোটিংয়ের জেরে বিজেপির সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বিজেপির। শেষ হাসি ফুটেছে কংগ্রেসের তৃতীয় প্রার্থী প্রমোদ তিওয়ারির।
সতীশ পুনিয়া ও বসুন্ধরা রাজে
সতীশ পুনিয়া ও বসুন্ধরা রাজেফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

চেষ্টার কোনও খামতি ছিল না। তারপরেও রাজ্যসভা নির্বাচনে রাজস্থান থেকে জিততে পারেননি মিডিয়া ব্যারণ সুভাষ চন্দ্র। যাকে সরাসরি সমর্থন যুগিয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।

দলেরই বিক্ষুব্ধ বিধায়ক শোভারানী কুশওয়াহার ক্রস ভোটিংয়ের জেরে বিজেপির সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বিজেপির। শেষ হাসি ফুটেছে কংগ্রেসের তৃতীয় প্রার্থী প্রমোদ তিওয়ারির। আর এই ঘটনায় বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের প্রতি যথারীতি ক্ষুব্ধ জে পি নাড্ডার দল।

বিজেপি সমর্থিত নির্দল প্রার্থী সুভাষ চন্দ্র মাত্র ৩০ টি ভোট সংগ্রহ করতে পেরেছিলেন। জেতার জন্য তাঁর প্রয়োজন ছিলো আরও ১১ টি ভোট।

যদিও গত শনিবার বিক্ষুব্ধ বিধায়ক শোভারানীকে দল থেকে সাসপেন্ড করেছে বিজেপি। এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, অন্তর্দ্বন্দ্বের জন্য ফেসবুকে বিজেপির রাজ্য এবং শীর্ষ নেতৃত্বের ক্ষোগ উগরে দিয়েছেন শোভারানী। একইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, 'দলের সিনিয়র নেতারা নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য দলীয় প্রার্থীদেরই পরাজিত করে থাকেন। সিনিয়র নেতারা অন্যায় না করে থাকলে, তিনিও অন্যায় কিছু করেন নি।'

রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের ঘনিষ্ঠ হলেন ডোলপুরের বিধায়ক শোভারানী। সুভাষ চন্দ্রের পরাজয়ের পর এখনও অবধি তিনি কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। রাজনৈতিক মহলের মতে দলের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গেও ইদানীং শীতল সম্পর্ক বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার।

রাজ্যসভা নির্বাচনে সারা দেশ থেকে মোট ৫৭ টি আসনের মধ্যে ২২ টি নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছে বিজেপি। এর মধ্যে কর্ণাটক থেকে সু-কৌশলে ৩ টি আসন জিতেছে গেরুয়া শিবির। কিন্তু, রাজস্থানের ক্ষেত্রে তাঁদের কৌশল কাজ করেনি। দলীয় সমর্থন দেওয়ার পরে জেতাতে পারেনি নির্দল প্রার্থী সুভাষ চন্দ্রকে।

কেন বিজেপি দ্বিতীয় আসনটি হেরেছে এবং কীভাবে শোভারানী কংগ্রেসের প্রমোদ তিওয়ারির পক্ষে ভোট দিয়েছেন তা নিয়ে কেন্দ্রের তরফে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে,।

২০১৮ সালে রাজস্থানে বিজেপিকে হটিয়ে সরকার গঠন করে কংগ্রেস। তারপর থেকে মরুরাজ্যে খুব একটা সুবিধাজনক ফল করতে পারেনি বিজেপি। একমাত্র ব্যাতিক্রম ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন। সেবার ২৫ আসনের মধ্যে সবকটিতেই জেতে বিজেপি। কিন্তু, পরবর্তী বিধানসভা উপনির্বাচন, পুরনিগম এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির চেয়ে ভালো করেছে কংগ্রেস।

রাজ্যসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট যেভাবে ১৩ জন নির্দল বিধায়ককে নিজেদের সমর্থনে এনেছেন এবং ৩ জন দলীয় প্রার্থীকে জিতিয়েছেন, তাও চমকে দিয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in