দেশে আকাশ-ছোঁয়া বেকারত্ব নিয়ে এবার উদ্বেগ প্রকাশ করলো রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বা আরএসএস। শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত আহমেদাবাদে আরএসএস-এর সর্বভারতীয় প্রতিনিধি সভার বৈঠক হয়েছে। সেখানেই বেকারত্ব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সঙ্ঘের শীর্ষ নেতৃত্ব।
২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধি ক্রমশ নিম্নমুখী ছিল। কোভিড মহামারীর পর তা আরও চূড়ান্ত আকার নেয়। বেকারত্ব হু-হু করে বেড়েছে। মোদী জমানায় রেকর্ড বেকারত্ব নিয়ে লাগাতার সরব ছিলেন বিরোধীরা। উত্তরপ্রদেশ সহ পাঁচ রাজ্যের ভোটের পর এবার বিরোধীদের সুরেই সুর মেলালেন আরএসএস। সম্ভবত এই প্রথম আরএসএস-এর শীর্ষ নেতৃত্ব দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে।
বেকারত্বের সমস্যাকে গুরুতর চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করে আরএসএস-এর প্রতিনিধি সভায় একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে, যেখানে এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার জন্য সমগ্র সমাজকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে বলা হয়েছে। প্রস্তাবে দেশের চাহিদা অনুযায়ী ভারতীয় অর্থনৈতিক মডেল তৈরীর কথা বলা হয়েছে, যা মানবকেন্দ্রিক, লেবার ইনটেনসিভ এবং ইকোফ্রেন্ডলি হবে। দেশে আরও কর্মসংস্থান তৈরির জন্য দেশীয় শিল্প এবং সেক্টরগুলিতে ফোকাস করার কথা বলা হয়েছে। গ্রামীণ কর্মসংস্থান, অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং কৃষিভিত্তিক শিল্পে জোর দিতে হবে। এছাড়াও মহিলাদের কর্মসংস্থান এবং অর্থনীতিতে মহিলাদের সামগ্রিক অংশগ্রহণের মতো ক্ষেত্রগুলোকে বাড়ানো দরকার বলে বলা হয়েছে প্রস্তাবে।
আরএসএস-এর রিপোর্টকে কটাক্ষ করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের দাবি, দেশে ক্রমবর্ধমান বেকারত্বের সমস্যাকে অস্বীকার করতে পারেনা আরএসএস এবং বিজেপি। তাই ভোট এলেই ধর্মীয় মেরুকরণের সাহায্য নিয়ে ভোটারদের বোকা বানানোর চেষ্টা করে বিজেপি।
উল্লেখ্য, সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি (CMIE)-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৮.১ শতাংশ যা গত ৬ মাসে সর্বোচ্চ। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অর্থাৎ দেশে মহামারী শুরুর ঠিক আগের মুহূর্তে বেকারত্বের হার ছিল ৭.৭৬ শতাংশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন