বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুললেন আরএসএস-এর সক্রিয় সদস্য হিসেবে পরিচিত শান্তনু সিনহা। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা শান্তনু সিনহার বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেছেন অমিত মালব্য। তিনি শান্তনুকে প্রকাশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করতেও বলেছেন। ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তিকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
ইন্ডিয়া টু ডে-র প্রতিবেদন অনুযায়ী গত ৮ জুন অমিত মালব্যর আইনজীবী মারফত পাঠানো ওই নোটিশে বলা হয়েছে, "অভিযোগটির কোনো ভিত্তিই নেই। আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। মক্কেল একজন পাবলিক ফিগার হওয়ায় তাঁর সম্মান আছে। কিন্তু এই অভিযোগের কারণে তাঁর সম্মানহানি হয়েছে।"
মালব্যর দাবি, তাঁর ভাবমূর্তি কলঙ্কিত করার উদ্দেশ্য নিয়েই এমন মিথ্যা অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে।
বিজেপির আইটি সেল প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসতেই গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণে নেমেছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই অমিত মালব্যর অপসারণের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।
কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাথ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, "বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বাংলায় বিজেপির পার্টি অফিসে মহিলাদের যৌন হেনস্থা করেন। ফাইভ স্টার হোটেলেও মহিলাদের নিয়ে গিয়ে এমন কাণ্ড ঘটান তিনি। এই অভিযোগ করছেন শান্তনু সিনহা। যিনি একজন আরএসএস সদস্য এবং বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। তাই আমরা অবিলম্বে অমিত মালব্যকে তাঁর পদ থেকে অপসারণের দাবি জানাচ্ছি। ভারতীয় মহিলাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে আর বিজেপি চুপ রয়েছে!"
তিনি আরও জানান, "বাস্তবতা হল, প্রধানমন্ত্রী মোদীর শপথ নেওয়ার ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে বিজেপির একজন বিশিষ্ট পদাধিকারী, তাদের আইটি সেলের প্রধানের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। অমিত মালব্য খুব প্রভাবশালী ব্যক্তি। আর নরেন্দ্র মোদী সবকিছু জেনেও চুপ আছেন। এই ক্ষমতার বলেই অমিত মালব্য অপরাধমূলক কাজ করেন। এমনকি বিরোধীদের আক্রমণ করতে গিয়েও তাঁর ব্যবহার ঠিক থাকে না। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও নিরপেক্ষ তদন্ত হচ্ছে না। তাঁকে পদ থেকে না সরালে কখনওই ন্যায় বিচার মিলবে না।"
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন