ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে (MSME) লোন প্রদানের ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা খেয়েছে মোদী সরকার। মহামারী ত্রাণ প্যাকেজের অধীনে দেওয়া প্রতি ৬ টি MSME লোনের মধ্যে একটি লোন অ্যাকাউন্ট NPA বা নন-পারফর্মিং অ্যাসেটে পরিণত হয়েছে।
মহামারী করোনাকালে ত্রাণ প্যাকেজের অংশ হিসাবে, ২০২০ সালের মে মাসে ইমার্জেন্সি ক্রেডিট লাইন গ্যারান্টি স্কিম (ECLG Scheme) চালু করেছিল কেন্দ্র। জানা যাচ্ছে, এই স্কিমে যে লোন দেওয়া হয়েছিল তার বর্তমান অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। প্রতি ৬ টি লোনের ক্ষেত্রে একটি লোন অ্যাকাউন্ট NPA হয়েছে।
নিউজক্লিকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুসারে, তথ্য জানার অধিকার বা RTI সূত্রে জানা গেছে, MSME লোন দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের অধীনে ন্যাশনাল ক্রেডিট গ্যারান্টি ট্রাস্টি কোম্পানি লিমিটেড (NCGTC) চালু করেছিল কেন্দ্র। ২০২০ সালে মে মাস থেকে ২০২২ সালের আগস্ট মাস নাগাদ- এই সংস্থার মাধ্যমে ৯৮ লক্ষ ৮৬ হাজার অ্যাকাউন্টে লোন প্রদান করা হয়েছে। তবে, এর মধ্যে ১৬ লক্ষ ২২ হাজার অ্যাকাউন্ট নন-পারফর্মিং অ্যাসেটে পরিণত হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, নন-পারফর্মিং অ্যাসেটে পরিণত হওয়া এই অ্যাকাউন্টগুলির লোনের ঊর্ধ্বসীমা ছিল ২০ লক্ষ টাকা। RTI অনুসারে, গত ২৭ মাসে এই ত্রাণ প্যাকেজের অধীনে মোট ২,৮১,৩৭৫.৯৯ কোটি টাকা লোন প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে NPA বা খারাপ লোনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১,৮৯৩.০৬ কোটি টাকা।
সাধারণত, MSME সেক্টরের জন্য ECLG স্কিমে যে লোন দেওয়া হয়েছে- তার জন্য সুদের হার ছিল দু রকম। এক, ব্যাঙ্কের মাধ্যমে নেওয়া লোনের ক্ষেত্রে সুদের হার ছিল ৯.২৫ শতাংশ। আর, নন-ব্যাঙ্কিং ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশনগুলির (NBFCs) জন্য ছিল ১৪ শতাংশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন