'কথা রাখেনি বিজেপি সরকার' - ত্রিপুরাতেও আমরণ অনশনে চাকরিহারা শিক্ষকরা। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাতেও শুরু হয়েছে শিক্ষক আন্দোলন। বৃহস্পতিবার, শিক্ষাকতায় স্থায়ীকরণের দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা।
২০১৮ সালে, বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল - (দল) ক্ষমতায় ফিরলে শিক্ষক সমস্যার সমাধান করা হবে। চাকরিহারাদের চাকরীতে ফেরানো হবে। কিন্তু, চার বছর পার হলেও, তা করেনি ত্রিপুরার বর্তমান মানিক সাহার সরকার। সেই ক্ষোভে আগরতলায় অনশন আন্দোলনে বসেছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা।
জানা যাচ্ছে, ২০১৭ সালে ত্রুটিপূর্ণ নিয়োগের অভিযোগে ত্রিপুরায় চাকরী হারান ১০ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষক। ত্রিপুরা হাইকোর্টের একই রায় বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্টও। ফলে, রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে এক অচলবস্থার তৈরির সম্ভাবনা দেখা দেয়।
একসঙ্গে এত শূন্যপদ তৈরি হলে পঠনপাঠনে সমস্যা হতে পারে এমন সম্ভাবনা দেখা দেয়। সেই কারণে অ্যাড হকের ভিত্তিতে চাকরিহারা শিক্ষকদের কাজের মেয়াদ আড়াই বছর বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদও ফুরিয়েছে ৩২ মাস আগে।
এদিকে, চাকরিহারা শিক্ষকরা দাবি করেছেন, সুপ্রিম কোর্টে RTI করে তাঁরা জানতে পেরেছেন, ২০১৭ সালে যে মামলায় তাঁদের চাকরি গিয়েছিল সেই মামলায় পার্টিই ছিলেন না তাঁরা। তাহলে কীভাবে তাঁরা চাকরি হারালেন?
এই আন্দোলনের নেতৃত্বে রয়েছে প্রদীপ বণিক নামে এক চাকরিহারা শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ত্রিপুরার হাইকোর্ট আমাদের চাকরিকে অবৈধ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু, আদালতের রায়ে ১০,৩২৩ জনের কোনও উল্লেখ নেই।’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘৩৮ জনের চাকরি নিয়ে চ্যালেঞ্জ হয়েছিল। কিন্তু, শিক্ষা ও আইন বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের অজ্ঞতার কারণে আমরা চাকরি হারিয়েছি।’
আদালতের রায়ের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন প্রদীপ বনিক। একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমরা আশা করছি, রাজ্য সরকার আমাদের আবেদন শুনবে এবং আমাদের স্কুলগুলিতে পুনর্বহাল করবে।’
তবে, আন্দোলনকারী শিক্ষকদের চাকরিতে পুনর্বহালের দায় কার্যত ঝেড়ে ফেলেছেন ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ। তিনি বলেন, আমি আর এনিয়ে বলব না, অনেক কথা হয়েছে। যাঁদের যোগ্যতা আছে তাঁরা অন্য দফতরে চাকরি খুঁজে নেবেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন