মহাত্মা গান্ধীর পরামর্শে আন্দামান কারাগারে বন্দি থাকাকালীন ব্রিটিশদের কাছে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন সাভারকার। মঙ্গলবার একথা বলেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। সাভারকারের মতাদর্শ নিয়ে মজা-বিদ্রুপ আর সহ্য করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার আম্বেদকর ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে হিন্দুত্ববাদীদের আইকন সাভারকরকে নিয়ে লেখা একটি বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা তথা দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেখানে তিনি বলেন, "সাভারকারের বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যাচার ছড়ানো হয়েছিল। বারবার বলা হয়েছে তিনি ব্রিটিশ সরকারের কাছে বহুবার ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। আসল সত্যি হলো, তিনি নিজের মুক্তির জন্য এই আবেদন করেননি। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী একজন বন্দির ক্ষমা প্রার্থনা করার অধিকার রয়েছে। মহাত্মা গান্ধী তাঁকে ক্ষমা প্রার্থনার আবেদন জানাতে বলেছিলেন। গান্ধীজির পরামর্শেই তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন এবং গান্ধীজি ব্রিটিশ সরকারের কাছে সাভারকারকে মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলেন।"
তিনি আরো বলেন, সাভারকার প্রকৃতপক্ষে দেশবাসীকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন কীভাবে দাসত্বের শৃঙ্খল ভাঙ্গতে হয়। নারীর অধিকার রক্ষা থেকে শুরু করে অস্পৃশ্যতার বিরুদ্ধে আন্দোলন - একাধিক সামাজিক সমস্যার বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর অবদানকে উপেক্ষা করা হয়েছে। তাঁর এই অবমাননা আর সহ্য করা হবে না।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী সাভারকারকে সিংহের সাথে তুলনা করে বলেন, সাভারকার হলেন সেই সিংহ যার মৃত্যুর বর্ণনা তার শিকারীকে করতে হয়েছিল কারণ সিংহ তার গল্প বলতে পারে না।
সাভারকারকে নাৎসি বা ফ্যাসিস্টের সাথে তুলনা করারও প্রতিবাদ করেছেন রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, "সাভারকার হিন্দুত্বের আদর্শের বিশ্বাস করলেও তিনি একজন বাস্তববাদী ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন সাংস্কৃতিক অভিন্নতা দেশের ঐক্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।"
"Veer Savarkar: The Man Who Could Have Prevented Partition" নামক বইটি লিখেছেন উদয় মাহুরকার এবং চিরায়ু পন্ডিত। রূপা পাবলিকেশন্স দ্বারা প্রকাশিত হয়েছে বইটি। এই অনুষ্ঠানে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও উপস্থিত ছিলেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন