হাথরাসে ধর্ষণের শিকার মৃত দলিত তরুণীর দাদাকে চাকরি দেওয়ার জন্য উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল যোগী সরকার। সোমবার, যোগী সরকারের আর্জি খারিজ করে শীর্ষ আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পি.এস. নরসিমহা এবং জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চ উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল (এএজি) গরিমা প্রসাদকে বলে, ‘এ ধরণের বিষয়ে রাজ্যের আসা উচিত নয়। এগুলি পরিবারকে দেওয়া সুবিধা। এতে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।’
এর আগে, এলাহাবাদ হাই কোর্ট এক নির্দেশে যোগী সরকারকে জানিয়েছিল, ‘২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রাজ্য সরকার হাথরাসে ধর্ষিতার পরিবরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা পূরণ করতে বাধ্য।’
একইসঙ্গে হাই কোর্ট জানায়, ‘হাথরাসে মৃতার পরিবারকে হাথরাসের বাইরে কোনও স্থানে স্থানান্তরিত করতে হবে সরকারকে। তবে, সেই স্থানটি উত্তর প্রদেশের মধ্যেই হতে হবে।’
এলাহাবাদ হাই কোর্টের এই নির্দেশই সোমবার বহাল রেখেছে দেশের শীর্ষ আদালত।
২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯-বছর-বয়সী এক দলিত তরুণীকে চার জন মিলে গণধর্ষণ করে। রক্তাত অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে প্রথমে আলীগড়ের একটি হাসপাতালে এবং তারপর দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রায় ১৫ দিন পরে, দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতদেহটি সন্ধ্যায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তরুণীর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নির্যাতিতার বাড়ির লোককে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে রেখে, পুলিশ এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে জোর করে দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এরপর এই ঘটনায় উত্তাল হয় রাজ্য-রাজনীতি। হাথরাসে ধর্ষণের ঘটনার পর যেভাবে মধ্যরাতে ওই তরুণীর দেহকে দাহ করা হয়, তা নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল এলাহাবাদ হাই কোর্টে। সেই মামলার নিরিখে এলাহাবাদ হাই কোর্ট ওই রায় দিয়েছিল। সেই রায়কেই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। হাথরাসে ধর্ষণের শিকার মহিলার দাদাকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পালন করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে কোর্ট।
-With IANS Inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন