জি নিউজের সঞ্চালক রোহিত রঞ্জনের (Rohit Ranjan) সুরক্ষা মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে নিয়ে 'ভুয়ো খবর' সম্প্রচারের জেরে একাধিক FIR দায়ের হয়েছিল রোহিতের বিরুদ্ধে। শুক্রবার, সেই মামলায় রোহিত রঞ্জনের সুরক্ষার আবেদন মঞ্জুর করেছে শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি জেকে মহেশ্বরীর বেঞ্চ অ্যাটর্নি জেনারেল মারফত কেন্দ্রীয় সরকারকেও নোটিস পাঠিয়েছে।
সঞ্চালক রোহিত রঞ্জনের হয়ে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথারা। তিনি রঞ্জনের গ্রেপ্তারির পরিবর্তে সুরক্ষা চান। সব যুক্তি শোনার পর, বেঞ্চ প্রশাসনকে জানায়, রঞ্জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার বা কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।
গত ৫ জুলাই, জি নিউজের সঞ্চালক রোহিত রঞ্জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে ছত্তিশগড় পুলিস। কিন্তু, নাটকীয়ভাবে সেই গ্রেফতারি আটকে দেয় গাজিয়াবাদ থানার পুলিশ। শুধু তাই নয়, ছত্তিশগড় পুলিশের হাত থেকে কেড়ে রোহিত রঞ্জনকে নিজেদের সঙ্গে নিয়ে যায় যোগী রাজ্যের পুলিশ।
এর আগে, মঙ্গলবার সকালে প্রথমে রোহিত রঞ্জন টুইটারে লেখেন, 'ছত্তিশগড় পুলিশ আমার বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আছে আমাকে গ্রেফতার করতে। তাও আবার স্থানীয় পুলিশকে না জানিয়ে। এটা কি বৈধ?'
কংগ্রেস শাসিত রাজ্য ছত্তিশগড় এবং বিজেপি শাসিত রাজ্য উত্তরপ্রদেশ - দুই রাজ্যের পুলিশের মধ্যে রোহিতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য টানাপোড়েন শুরু হয়। একপর্যায়ে দুই রাজ্যের পুলিশকে নিজেদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি করতে দেখা যায়, একটি ভিডিওতে।
সঞ্চালক রোহিত রঞ্জনের বিরুদ্ধে কী নিয়ে অভিযোগ?
কেরালায় রাহুল গান্ধীর অফিসে ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি যে মন্তব্য করেছেন, সেই মন্তব্যকে উদয়পুরের কানাহাইয়ালালের হত্যাকারীদের নিয়ে বলা মন্তব্য বলে সম্প্রচার করা হয় DNA Show-তে।
অভিযোগ, ওই চ্যানেলে যে খবর সম্প্রচারিত হয়েছে তাতে রাহুল গান্ধীকে উদয়পুরের কানহাইয়ালালের হত্যাকারীদের সমব্যথী হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে, রায়পুর পুলিশের সুপার প্রশান্ত আগরওয়াল জানান, ‘দেবেন্দ্র যাদব নামক এক ব্যক্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোহিত রঞ্জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩, ২৯৫, ৫০৪, ৫০৫ (২০), ১২০বি, ৪৬৭, ৪৬৯ এবং ৪৭১ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।'
তবে জানা যাচ্ছে, এ বিষয়ে আগেই ক্ষমা চেয়েছে জি-টিভি। সঞ্চালক রোহিত রঞ্জন বলেন, 'আমাদের DNA Show -তে, ভুলক্রমে রাহুল গান্ধীর বক্তব্যটিকে উদয়পুরের ঘটনার সঙ্গে লিংক করা হয়েছিল। এটি একটি মানবিক ত্রুটি, এর জন্য আমারা ক্ষমাপ্রার্থী।'
আজ, শীর্ষ আদালতের নির্দেশে স্বস্তি পেলেন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন