উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানি রেলস্টেশনের কাছে ৫০০০-র বেশি বাড়ি উচ্ছেদ করতে চলেছে রেল। রেলের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। সূত্রের খবর, তাঁর আবেদন গ্রহণ করেছে শীর্ষ আদালত।
বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ এই মমলার শুনানি হবে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এস এ নাজির ও বিচারপতি পি এস নরসিমার ডিভিশন বেঞ্চে।
হলদওয়ানিতে রেলের উচ্ছেদ অভিযানের বিরুদ্ধে আগেই শীর্ষ আদালতে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সব মিলিয়ে দুটি আবেদনেরই শুনানি হবে বৃহস্পতিবার।
গত ২০ ডিসেম্বর, বনভুলপুরা এলাকায় রেলওয়ের ২৯ একর জমি দখলমুক্ত করার নির্দেশ দেয় উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট। তারপরেই, উচ্ছেদের নোটিশ জারি করে রেল। জমি দখলমুক্ত করার জন্য এক সপ্তাহের সময় সীমা বেঁধে দিয়েছে রেল। এর ফলে নতুন বছরের শুরুতেই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন হলদওয়ানির বাসিন্দারা। প্রবল ঠাণ্ডায় বাচ্চাদের নিয়ে কোথায় উঠবেন জানেন না অধিকাংশ পরিবার। একরাশ আতঙ্ক আর হতাশা ঘিরে ধরেছে তাঁদের।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে, হাজার হাজার বাসিন্দা রেলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জোরালো করতে একটি মোমবাতি মিছিল বের করেন। তাদের দাবি, এই উচ্ছেদের ফলে তারা গৃহহীন হয়ে যাবেন। তাদের স্কুলগামী শিশুদের ভবিষ্যত ঝুঁকির মুখে পড়বে। এই পদক্ষেপটি বিপুল সংখ্যক মহিলা, শিশু এবং বয়স্কদের প্রভাবিত করবে। এটা অননুমোদিত কলোনি। এবং কিছু পরিবার প্রায় ৪০-৫০ বছর ধরে এখানে বসবাস করছে।
এদিকে, কুমাওন রেঞ্জের ডিআইজি নীলেশ আনন্দ ভরনে জানিয়েছেন, 'উত্তরাখণ্ড হাইকোর্টের নির্দেশ কার্যকর করা হবে। আমরা জনগণের সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং আদালতের নির্দেশ মেনে চলতে বলেছি। নির্দেশের সহজ বাস্তবায়নের জন্য আমরা এলাকাটিকে জোন, সেক্টর এবং সুপারজোনে ভাগ করেছি।'
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন