নির্বাচনের ফলপ্রকাশের আগে দেশবাসীকে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ। যার ফলে ৩০ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে লগ্নিকারীদের। এবার মোদী এবং শাহের বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তুলে বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবির দ্বারস্থ হল তৃণমূল। এর আগে ৫ জুনও সেবির দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল।
মঙ্গলবার সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচকে চিঠি পাঠিয়ে পূর্ণ তদন্তের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল। অভিযোগটি করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাকেত গোখলে। তাঁর অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয়ের ইঙ্গিত দিয়ে মানুষকে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে বলেছিলেন মোদী-শাহ। মোদী এবং শাহের এই মন্তব্যের মাধ্যমে শেয়ার বাজারে কোনও কারচুপি হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে। পাশাপাশি, ৩ এবং ৪ জুন শেয়ার বাজারে ধস নামার কারণে মোদী, শাহ বা বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে এমন কোনও সংস্থা মুনাফা লাভ করেছে কি না, তারও তদন্ত প্রয়োজন।
লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের আগে এক সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় মোদী আমজনতার উদ্দেশ্যে জানিয়েছিলেন, ৪ জুনের আগে শেয়ার কিনে রাখুন। কারণ, তার পর থেকে ব্যাপকভাবে উপরে উঠবে বাজার। একই বার্তা দিয়েছিলেন অমিত শাহও। বুথফেরত সমীক্ষায় মোদী সরকারের বিপুল আসনে জিতে প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দেওয়ায় ২৫০০ পয়েন্ট উপরে ওঠে বাজার। কিন্তু ফল প্রকাশের পর একদিনে ৪৩৮৯ পয়েন্টের বেশি নিচে নামে সেনসেক্স। যার জেরে ৩০ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয় সাধারণ মানুষের।
এরপর গত ৫ জুন সেবির দ্বারস্থ হন সাকেত। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, বুথফেরত সমীক্ষায় জড়িত একটি সংস্থাকে বিজেপি নিজস্ব সমীক্ষা চালানোর জন্য ভাড়া করেছিল। সেই সংস্থা আবার সংবাদমাধ্যমের জন্যও সমীক্ষা করেছে। ওই সংস্থা ইচ্ছাকৃত ভাবে বিজেপির জয়ের ইঙ্গিত দিয়েছিল কি না এবং কোন কোন সংস্থা বাজারের ওঠানামা থেকে মুনাফা কুড়িয়েছে, তা নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছিল তৃণমূল।
উল্লেখ্য, এই ইস্যু নিয়ে সরব হয়ে দেখা গিয়েছে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকেও।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন