আসন্ন উৎসবের মরসুমে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে গোটা লখনউ শহরে আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত জারি হচ্ছে ১৪৪ ধারা। অবশ্য এই সময়সীমা আরও বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে লখনউ পুলিশের তরফে।
যোগীরাজ্যের রাজধানী শহর লখনউয়ের পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, “সামনেই শ্রাবণ মাস। আর গোটা শ্রাবণ মাস জুড়েই বিভিন্ন উৎসব রয়েছে। যেমন, ১৯ জুলাই রয়েছে হিন্দুদের পরব হরিয়ালি তিজ, একইদিনে শুরু হচ্ছে মুসলিমদের মহরম মাস, ১৫ আগস্ট রয়েছে স্বাধীনতা দিবস, ২১ আগস্ট রয়েছে নাগ পঞ্চমী। এছাড়া গোটা শ্রাবণ মাস জুড়েই চলবে শিবের উপাসনা। এই নিয়ে নতুন কিছু বিধিনিষেধ আরপ করা হচ্ছে।”
পাশাপাশি, এই মাসে কয়েকটি প্রবেশিকা পরীক্ষা, কয়েকটি সক্রিয় দল ও কৃষক ইউনিয়নের কর্মসূচী ও রাজনৈতিক দলগুলির মিটিং-মিছিল-সমাবেশ রয়েছে। তাই সবদিক মাথায় রেখে লখনউ শহরে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতেই এই ১৪৪ ধারা জারি করা হচ্ছে বলে লখনউ পুলিশের তরফে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
এছাড়াও বিবৃতি অনুযায়ী এই সময়ে বিশেষ কিছু বিধিনিষেধও আরোপ করা হচ্ছে। লখনউ পুলিশের যুগ্ম কমিশনার উপেন্দ্র কুমার আগরওয়াল এই নিয়ে জানিয়েছেন, “কোনও সরকারি ভবনের ১ কিলোমিটারের মধ্যে ড্রোন ওড়ানো বিশেষভাবে নিষিদ্ধ। এমনকি যেকোনও জায়গায় ড্রোন ওড়ানোর জন্যও প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে। এছাড়া নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া যেখানে-সেখানে মিছিল বা বিক্ষোভ করা যাবে না। এর জন্য ইকো গার্ডেন জায়গাটি নির্দিষ্ট করে দেওয়া হল। এর পাশাপাশি, কোনও বিক্ষোভ-সমাবেশে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ৫ জনের বেশি মানুষকে জড়ো করা যাবে না।”
লখনউ প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ আধিকারীক এই বিষয়ে আরও জানিয়েছেন, “রাত ১১টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত লাউডস্পিকার বাজানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। কোনও ধর্মীয় স্থানে বাজানো লাউডস্পিকারের আওয়াজ যেন তার চত্বরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। এছাড়াও শব্দের ডেসিবেল মাত্রা নিয়ে ভারতে যে নির্দিষ্ট আইন রয়েছে, কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সেই আইন মেনে চলতে হবে।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন