অযোধ্যায় কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকরের স্মৃতিসৌধ নির্মাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠলো সাধু-সন্ন্যাসীদের বিরুদ্ধে। তাঁদের দাবি ঐ স্মৃতিসৌধ রামানন্দ আচার্যের নামে করতে হবে।
অযোধ্যায় 'ভারতরত্ন' লতা মঙ্গেশকরকে সম্মান জানিয়ে একটি স্মৃতি স্তম্ভ তৈরি করা হচ্ছে। প্রবাদপ্রতিম গায়িকার নামে ঐ স্তম্ভ নির্মাণে আপত্তি জানিয়েছেন সাধুরা। এই নিয়ে সম্প্রতি একটি বৈঠক হয় মনিরাম দাস ছাউনিতে। যে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মোহন্ত কমল নয়ন দাস। সেখানেই ঠিক হয় লতা মঙ্গেশকরের নামে স্মৃতিসৌধে আপত্তি জানানো হয়।
সাধুদের তরফ থেকে দাবি করা হয়, আসন্ন সৌধের নামকরণ করা হোক রামানন্দ সম্প্রদায়ের আচার্য রামানন্দাচার্যের নামে। সাধুরা বলেন, “আমরা লতা মঙ্গেশকরের বিরোধিতা করছি না, তবে তাঁর স্মৃতিসৌধ অন্য কোথাও তৈরি করা যেতে পারে। অযোধ্যা রামানন্দ সম্প্রদায়ের ভূমি এবং স্মৃতিসৌধটি তাঁকেই উৎসর্গ করা উচিত”।
এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুর পর উত্তরপ্রদেশ সরকার তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি ক্রসিং মেমোরিয়ালের ঘোষণা করে। ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত স্মৃতিসৌধের কাজ শুরু হয়ে গেছে।
সরকারী সূত্রের খবর, স্মৃতিসৌধের কেন্দ্রে ১০ মিটার উচ্চতার একটি সাদা রঙের 'বীণা' থাকবে। ঐখানে একটি পুকুরে বীণাটি বসানো হবে। পুকুরের মধ্যে স্টেইনলেস স্টিলের ৯২ টি পদ্মফুল সুসজ্জিত থাকবে। সাতটি মিউজিক্যাল স্তম্ভ থাকবে সেখানে, যেখান থেকে লতা মঙ্গেশকরের 'ভজন' শোনা যাবে। পুকুরটির উপর পায়ে হাঁটার জন্য একটি পথও নির্মাণ করা হবে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন