ফের সংবাদ শিরোনামে উত্তরপ্রদেশের হাথরস। মঙ্গলবার হাথরসের এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮৭ জন। আহত বহু। এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
মঙ্গলবার মুঘলাগড়ি গ্রামে একটি প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থী জমায়েত হয়। অনুষ্ঠান শেষ হতেই বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তবে সঠিক কী কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে! সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তদন্ত চলছে।
এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় ৮৭ জন মৃতের মধ্যে ৩ জন শিশু আছে বলে জানা গেছে। তাঁদের উদ্ধার করে সিকন্দরারাউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চিকিৎসায় গাফলতির অভিযোগও উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, আহতদের নিয়ে গেলেও সেখানে চিকিৎসা করার মতো পর্যাপ্ত চিকিৎসক ছিল না। হাসপাতালে এক জন চিকিৎসক ছিলেন। ঘটনার পর দেড় ঘণ্টা কেটে গেলেও প্রশাসনের কোনও আধিকারিক আসেননি। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা।
অন্যদিকে, গোটা ঘটনাটির খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কেন এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হল, সেটা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনার পর পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে মুঘলাগড়ি গ্রামে যাচ্ছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী লক্ষ্মীনারায়ণ চৌধরী এবং সন্দীপ সিংহ। রাজ্য পুলিশের ডিজিও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর এক দলিত মেয়েকে গণধর্ষণের কাণ্ডে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল উত্তরপ্রদেশের হাথরস। নির্যাতিতার শিরদাঁড়া ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর জিভ কেটে নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল। প্রায় ১৫ দিন ধরে হাসপাতালে লড়াই করার পর মারা যান ওই তরুণী। নির্যাতিতার পরিবারকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে রাতের অন্ধকারেই তড়িঘড়ি নির্যাতিতার দেহ দাহ করার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ জুড়ে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন