একদিকে যেমন ভয়াবহ বন্যায় জর্জরিত আসামের অধিকাংশ এলাকা, অন্যদিকে তেমনই পূর্ব ও মধ্য ভারতের একটা বড় অংশের নাভিশ্বাস উঠছে মাত্রাতিরিক্ত তাপপ্রবাহে। উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ-সহ একাধিক রাজ্যে তাপপ্রবাহের জেরে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের জীবন। তাই এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে ৫ সদস্যের একটি দল তাপপ্রবাহের জেরে সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলিতে গিয়ে জনজীবনের উপরে তাপপ্রবাহের প্রভাব কমানোর পরামর্শ দেবেন, এমনটাই খবর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য স্বাস্থ্যমন্ত্রকের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। এই বৈঠকের প্রধান লক্ষ্য ছিল, পূর্ব ও মধ্য ভারতের সাধারণ মানুষের উপর অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের প্রভাব লাঘব। বৈঠক শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, “কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের উচ্চপদস্থ কর্তা ও জাতীয় মৌসম ভবনের আধিকারিক-সহ মোট ৫ সদস্যের একটি দল তাপপ্রবাহে সবাধিক ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলিতে গিয়ে সেখানকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরামর্শ দেবেন।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, “ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)-কেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই অতিরিক্ত তাপপ্রবাহে সাধারণের মানুষের ক্ষতি কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে। এই বীভৎস গরমে সাধারণ মানুষের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, তাঁর জন্য সবরকম ব্যবস্থা নেব আমরা। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে এই প্রচণ্ড গরমে যেন কেউ প্রাণ না হারান।” এর পাশাপাশি, তাপপ্রবাহে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলির স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।
মৌসম ভবন অবশ্য জানিয়েছে, পূর্ব ও মধ্য ভারতের কিছু কিছু জায়গায় বুধবার থেকেই তাপপ্রবাহের তেজ কমতে থাকবে। তবে ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও ওড়িশায় মাত্রাতিরিক্ত তাপপ্রবাহের জেরে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে।
প্রসঙ্গত, মৌসম ভবন আগেই জানিয়ে দিয়েছিল উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ও পশ্চিমবঙ্গ-সহ ভারতের অধিকাংশ রাজ্য এবছর এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত অস্বাভাবিক তাপপ্রবাহের সাক্ষী থাকতে চলেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন