একমাস অতিক্রান্ত হয়নি, এরইমাঝে বে-আইনি নির্মাণ উচ্ছেদ নিয়ে আবার উত্তাল হয়েছে নয়াদিল্লি। সোমবার সকালেই বুলডোজার পৌঁছে গেছে শাহিনবাগে। আর দিল্লি পুরসভার এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে পথে নেমেছে কংগ্রেস কর্মীসহ সাধারণ মানুষেরা। বুলডোজারের সামনে শুয়ে পড়ে তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। সময় যত বাড়ছে, পরিস্থিতি আরও উত্তাল হচ্ছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী ও আধা সেনা।
বিক্ষোভে দফায় দফায় কেজরিওয়াল সরকার এবং কেন্দ্রের অধীন দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে শ্লোগান উঠছে। এক কংগ্রেস কর্মী বুলডোজারের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন ‘এগুলি হিংসার বুলডোজার। এই পদক্ষেপ অসাংবিধানিক। আমারা কখনই এই উচ্ছেদ হতে দেব না।‘ একইসঙ্গে দিল্লি পুরসভার মনোভাব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এক বিক্ষোভকারীর জিজ্ঞাসা, ‘আপনারা (পড়ুন- বিজেপি) এই পুরসভা দীর্ঘ ১৫ বছর চালিয়েছেন। আর, হঠাৎ করে এখন কি হল?’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২০ এপ্রিল, বুলডোজার দিয়ে দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরিতে বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলা শুরু করেছিল উত্তর দিল্লি পুরসভা। পরে পুরসভার এই সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে শীর্ষ আদালত। আসরে নামেন সিপিআই(এম) নেত্রী বৃন্দা কারাট। এদিন বৃন্দা কারাত জাহাঙ্গীরপুরীতে এসেই সেখানে নিযুক্ত শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেন।
পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'যেভাবে বুলডোজার দিয়ে সমস্ত কিছু গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল আমার মতে তা বেআইনি, সংবিধানবিরোধী।‘ এদিন সিপিআই(এম) নেত্রী জানান, ‘যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের নোটিশ না দিয়েই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন অ্যাক্ট, ১৯৫৭ এবং সংবিধানের পরিপন্থী। পাশাপাশি ন্যায়বিচার ও ন্যায্যতার সমস্ত নীতিও লংঘন করে এই দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের এই পদক্ষেপ।‘
- with IANS inputs
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন