২৫ বছর পর কংগ্রেসে ঘরওয়াপসি হতে চলেছে প্রবীণ মারাঠা নেতা তথা ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) প্রতিষ্ঠাতা শরদ পাওয়ারের? সম্প্রতি শরদ পাওয়ারের এক মন্তব্য ঘিরে এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
মঙ্গলবার একটি সংবাদ মাধ্যমে শরদ পাওয়ার বলেন, “আগামী কয়েক বছরে দেশের অনেকগুলি আঞ্চলিক দলই কংগ্রেসের কাছাকাছি আসবে। তাদের মধ্যে কয়েকটি কংগ্রেসে মিশেও যাবে।“ আর তার পর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে তাহলে কি এবার কংগ্রেসে ফিরতে চলেছেন শরদ পাওয়ার?
যদিও প্রবীণ মারাঠা নেতার এই মন্তব্যের পর থেকেই তাঁকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি এবং তার সহযোগী দলগুলি। সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে শিন্ডে শিবিরে যাওয়া সঞ্জয় নিরুপম বুধবার কটাক্ষ করে বলেন, “শরদজি তাঁর দলকে কংগ্রেসের সঙ্গে মিশিয়ে দিতেই পারেন। কিন্তু শূন্যের সঙ্গে শূন্য জুড়লে শূন্যই হয়।“
উল্লেখ্য, গত বছর শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার তাঁর সঙ্গ ছেড়ে যোগ দেন মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের শিবিরে। সঙ্গে ছিলেন এনসিপির বহু বিধায়ক। শরদের সঙ্গ ছাড়ার পরই উপমুখ্যমন্ত্রী হন অজিত। অধিকাংশ বিধায়ক অজিত গোষ্ঠীতে থাকায়, তাকেই আসল এনসিপি হিসাবে নির্বাচন কমিশন স্বীকৃতি দেয়। বর্তমানে দলের প্রতীক ঘড়িও অজিত গোষ্ঠীর দখলে। আর এই পরিস্থিতিতে জল্পনা উঠেছে ফের কংগ্রেসে ফিরতে পারেন শরদ পাওয়ার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে সোনিয়া গান্ধী সহ দলের শীর্ষ নেতৃত্বদের চিঠি পাঠিয়ে শরদ এবং তাঁর সঙ্গী পিএ সাংমা ও তারিক আনোয়ার বলেছিলেন, দেশের রাষ্ট্রপতি-উপরাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী পদে বিদেশি কোনও বংশোদ্ভূতের বসা অনুচিত। এরপর নিজের ইস্তফা পত্র দেন সোনিয়া গান্ধী। যদিও পরবর্তী সময়ে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ওয়ার্কিং কমিটির সদস্যেরা বৈঠক করে সোনিয়া গান্ধীর ইস্তফা পত্র গ্রহণে অসম্মত হলে, সবার অনুরোধে নিজের ইস্তফা পত্র ফিরিয়ে নেন সোনিয়া গান্ধী।
আর তারপরেই শরদ পাওয়ার, পিএ সাংমা ও তারিক আনোয়ার কংগ্রেস ছেড়ে এনসিপি গঠন করেন। কয়েক বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন সাংমা। তারিক ফিরে গেছেন কংগ্রেসে। রাজনৈতিক বিশেজ্ঞদের মতে, এবার পালা শরদের।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন