আচমকাই ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (NCP) সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ শারদ পাওয়ার। এক প্রেস বিবৃতিতে মঙ্গলবার শারদ পাওয়ার এই ঘোষণা করেছেন। রাজনৈতিক মহলের অনুমান, ভাইপো অজিত পাওয়ারের সঙ্গে সংঘাতের কারণেই তিনি দলীয় প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। শারদ পাওয়ারকে মহারাষ্ট্রের বিরোধী জোট মহা বিকাশ আঘাদি (MVA)-র অন্যতম রূপকার বলা হয়।
১৯৯৯ সালে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হবার পর পি এ সাংমা, তারিক আনোয়ারকে সঙ্গে নিয়ে এনসিপি-র প্রতিষ্ঠা করেন শারদ পাওয়ার। ওই সময় কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কিছু মতান্তরের কারণে তিনি দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন।
এদিন পাওয়ার বলেন, এখনও রাজ্যসভায় আমার তিন বছরের মেয়াদ বাকি আছে। আমি এরপর আর কোনো নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না। তিনি আরও বলেন, ১৯৬০ সালের ১লা মে আমি আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলাম। গতকাল আমি মে দিবস উদযাপন করেছি। এই দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের পর কোথাও একটা থামা দরকার। কারোর লোভী হওয়া উচিৎ নয়।
বিবৃতিতে পাওয়ার দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। পাওয়ার জানিয়েছেন, এই কমিটিতে প্রফুল্ল প্যাটেল, সুনীল টাটকারে, পি সি চাকো, নরহারি জিরওয়াল, অজিত পাওয়ার, সুপ্রিয়া সুলে, জয়ন্ত পাটিল, ছগন ভুজবল, দিলীপ ওয়ালসে পাটিল, অনিল দেশমুখ, রাজেশ টোপে, জিতেন্দ্র আওহাদ, হাসান মুশারিফ, ধনঞ্জয় মুন্ডে, জয়দেব গাইকোয়াড় সহ দলের মুখ্য সংগঠনের প্রধানরা থাকবেন।
শারদ পাওয়ারের এই ঘোষণার পরেই দলীয় কর্মীরা তাঁর কাছে এই সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনার আবেদন জানিয়েছেন। দলীয় কর্মীরা জানাচ্ছেন, তাঁরা এই সিদ্ধান্ত মানবেন না। এই সিদ্ধান্ত থেকে যতক্ষণ না শারদ পাওয়ার সরে আসবেন আমরা এখান থেকে নড়বো না।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন