মহারাষ্ট্রের রাজনীতি বেশ কিছুদিন ধরেই নতুন নতুন সমীকরণের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে রবিবারই প্রাক্তন শরিক বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে অন্যরকম সুর শোনা গিয়েছে বিজেপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের গলায়। আর তারপরই আজ শিবসেনা-বিজেপি সম্পর্ক নিয়ে সরব হয়েছেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। তাঁর দাবি, তাঁর দল ও বিজেপি ভারত-পাকিস্তানের মতো সম্পর্কে নেই। বরং বলিউডের অভিনেতা আমির খান ও তাঁর স্ত্রী কিরণ রাওয়ের মতো সম্পর্কে রয়েছে।
উল্লেখ্য, একদিন আগেই বিবাহ বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেছেন আমির খান। কিন্তু বিচ্ছেদের পরও সঙ্গে নয়, পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন। ঠিক তেমনই, বিজেপি ও শিবসেনা সঙ্গে না থাকলেও বন্ধুত্ব অটুট রয়েছে বলেই দাবি করেন রাউত। রবিবার সাংবাদিকদের সামনে ফড়নবিশ জানান, শিব সেনা কখনওই বিজেপির শত্রু ছিল না। এখানেই শেষ নয়, আগামীদিনে পরিস্থিতি সেরকম হলে ফের দুই দল যে জোট বাঁধবে সেকথা জানাতেও ভোলেননি।
বস্তুত, মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রকান্ত পাটিল এই বিষয়ে বলেন, ফড়নবিশের মন্তব্য ঠিকই কিন্তু, তার মানে এই নয় যে, দুই দল আবার একসঙ্গে জোট বেধে সরকার গঠন করবে। এমন সময় দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এই মন্তব্য করেছেন যখন শিবসেনার বর্তমান জোটসঙ্গী এনসিপি-র নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। শিবসেনা এবং এনসিপি-র অভিযোগ, মহারাষ্ট্রে তিন-দলীয় জোট সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলতেই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অপব্যবহার করা হচ্ছে।
এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, জোট সরকার তার মেয়াদ সম্পূর্ণ করবেই। কংগ্রেসের তরফ থেকেও জানানো হয়েছে, আগামী পাঁচ বছর উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে রয়েছে তারা। প্রসঙ্গত, গত মাসে সেনা বিধায়ক প্রতাপ সারনায়েক মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে চিঠি লিখে আবেদন করেছিলেন, দলীয় নেতাদের কেন্দ্রীয় এজেন্সির হেনস্থার হাত থেকে বাঁচাতে বিজেপির সঙ্গে জোট করা উচিত দলের। এই পরিস্থিতিতে ফড়নবিশের এই মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন